শামের জিহাদে বের হও- শায়খ আয়মান আল যাওয়াহিরী (হাফিজাহুল্লাহ)

আস-সাহাব মিডিয়া পরিবেশিত

2

শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী (আল্লাহ্ তাঁকে হেফাজত করুক)’এর নতুন অডিও বার্তা “শামের জিহাদের জন্য বের হও !”

1

ডাউনলোড লিংকঃ https://moroccotoindonesia.files.wordpress.com/2016/05/shaam-er-jihade.pdf

download-buttons

ভিডিও ট্রেইলার || চার্লি হেব্দ থেকে জাগৃতি

trailer

GIMF বাংলা টিম (জিবিটি) পরিবেশিত

একটি চমৎকার ভিডিও

“চার্লি হেব্দ থেকে জাগৃতি”

শীঘ্রই আসছে ইনশাআল্লাহ

ট্রেলার ডাউনলোড লিঙ্কঃ MP4 (8.4 MB)

https://www.sendspace.com/file/gizmf8
https://www.sendspace.com/file/suei7i
https://www.sendspace.com/file/p06glp

http://www100.zippyshare.com/v/bsrcYBVN/file.html
http://www100.zippyshare.com/v/yL4BTNie/file.html
http://www100.zippyshare.com/v/Nr4AeWqW/file.html
http://hugefiles.net/jstdnz9zo7s7
http://hugefiles.net/m6pk42tp2yya
https://www.sendmyway.com/wvxrl9iuktrk
https://www.sendmyway.com/uqdldt7a4z7d
https://www.sendmyway.com/1qd0zremh3wz
http://turbobit.net/fizo824bji47.html
http://turbobit.net/z7y41jc14j9i.html
http://turbobit.net/3zsrd8yvzrm0.html
https://1fichier.com/?axh06lyqjl
https://1fichier.com/?xyzgfm1o18
https://1fichier.com/?qz0yfujwq4
http://www.solidfiles.com/d/04908203f9/
http://www.solidfiles.com/d/7f56684f29/
http://www.solidfiles.com/d/c6e5ef1dec/

————–

সূত্রঃ দাওয়াহ-ইলাল্লাহ ফোরাম

রাসুলুল্লাহ (সা:) এর চরিত্র সম্পর্কে অমুসলিমদের বক্তব্য

1. Encyclopedia Britannica confirms: “…. A mass of detail in the early sources show that he was an honest and upright man who had gained the respect & loyalty of others who were like-wise honest and upright men.” (Vol. 12) “Muhammed (Muhammad [pbuh]) was the most successful of all religious personalities” (4th and 11th editions)

এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকায় মুহাম্মাদ (সাঃ) কে নিয়ে বলা হয়েছে যে, ‘…পূর্ববর্তী বহু বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, মুহাম্মাদ (সা.) একজন সৎ এবং ন্যায়নিষ্ঠ মানুষ ছিলেন এবং তিনি অন্যান্য সৎ এবং ন্যায়নিষ্ঠ মানুষের শ্রদ্ধা ও আনুগত্য লাভ করেছিলেন।’ (খন্ড ১২) ‘বস্তুত, মুহাম্মাদ (সা.) ছিলেন সর্বাধিক সফল একজন ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব।” (চতুর্থ এবং একাদশ সংস্করণ)

2. Sir Thomas Carlyle said in a lecture entitled “Heroes and Hero worship” in May, 1840: “Muhammad was the man of truth and fidelity, true in what he did, in what he spoke, in what he thought; always meant something, a man rather taciturn in speech, silent when there was nothing to be said, but pertinent, wise, sincere, when he did speak, always throwing light on the matter…”

স্যার টমাস কার্লাইল ১৮৪০ সালের মে মাসে তার ‘Heroes and Hero Worship’ নামের বক্তৃতায় বলেনঃ ‘মুহাম্মাদ (সা.) কাজে, কথায় এবং চিন্তায় ছিলেন সত্য। তিনি কখনো নিরর্থক কথা বলতেন না, বরং কখনো কখনো নিরবতা অবলম্বন করতেন। কিন্তু যখন কথা বলতেন তখন তাঁর কথা হতো প্রাসঙ্গিক, প্রজ্ঞাময় আর অকপট এবং তিনি সর্বদা মূল বিষয়ে আলোকপাত করতেন…’ তিনি আরও বলেন:

“A poor shepherd people roaming unnoticed in the deserts since the creation of the world; a hero Prophet was sent down to them with a word they could believe; see the unnoticed became world noticeable, within one century afterwards Arabia is at Granada on this end; at Delhi on that; glancing with velour and splendor and the light of genius.”

‘আরবরা ছিল দরিদ্র মেষপালক, যারা সৃষ্টির শুরু থেকে মরুভূমিতে সকলের অলক্ষ্যে বিচরণ করে বেড়াত। এই আরবদের কাছে একজন মহামানবকে (মুহাম্মদ সাঃ) সত্য বাণী (আল-কুরআন) সহকারে পাঠানো হল, আর তারা সেই বাণী বিশ্বাস করলো। এই বিশ্বাসের ফলে তারা সমগ্র পৃথিবীর কাছে নির্ভীক আর প্রতিভার আলোয় জাজ্বল্যমান ঈর্ষণীয় এক জাতিতে পরিণত হল এবং মাত্র এক শতাব্দীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল গ্রানাডা এবং দিল্লী পর্যন্ত।।”

3. Michael H. Hart said on the topic why Muhammad (pbuh) topped his list: “My choice of Muhammad to lead the list of the world’s most intellectual persons may surprise some readers and may be questioned by others, but he was the only man in history who was supremely successful on both the religious and secular levels.”  (M. H. Hart, The 100: A Ranking of the Most Influential Persons on History, New York, 1978, p. 33)

মাইকেল এইচ. হার্ট বলেনঃ ‘মুহাম্মাদকে (সা.) ‘বিশ্বের সেরা বুদ্ধিদীপ্ত মানুষরা’ এর তালিকায় সবার উপরে স্থান দেয়ার ব্যাপারটা অনেক পাঠককে হয়তো অবাক করবে আবার কেউ কেউ হয়তো এই ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করবে, কিন্তু সমগ্র ইতিহাসে তিনিই একমাত্র মানুষ যিনি ধর্মীয় এবং সাংসারিক উভয় ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সফলতার অধিকারী।” (এম. এইচ. হার্ট, The 100: A Ranking of the Most Influential Persons on History, নিউইয়র্ক, ১৯৭৮, পৃষ্ঠা ৩৩)

4. George Bernard Shaw said: ‘I believe that if a man like him were to assume the dictatorship of the modern world he would succeed in solving its problems in a way that would bring it the much needed peace and happiness.’ (The Genuine Islam, Singapore, vol. 1, No. 8, 1936) “He established a powerful and dynamic society to practice and represent his teachings and completely revolutionized the worlds of human thought and behavior for all times to come” (The Genuine Islam, Singapore, vol. 1, No. 8)

নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক জর্জ বার্নাড শ মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে বলেন, ‘আমার বিশ্বাস যদি তাঁর মতো একজন মানুষ বর্তমান বিশ্ব পরিচালনা করতেন তবে আজকের সমস্যাগুলো দূর হয়ে যেতো এবং প্রয়োজনীয় শান্তি ও নিরাপত্তা কায়েম হতো।”  ‘তিনি একটি শক্তিশালী এবং যুগোপযোগী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা ছিল তার শিক্ষার প্রতিফলন এবং এই সমাজ ব্যবস্থা বিশ্ব মানবতার চিন্তাধারায় আমূল পরিবর্তন সাধন করেছিল।” ((The Genuine Islam, সিঙ্গাপুর, ১৯৩৬, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৮)

5. Mahatma Gandhi : Ô…I was more than ever convinced that it was not the sword that won a place for Islam in those days in the scheme of life. It was the rigid simplicity, the utter self – effacement of the Prophet, the scrupulous regard for pledges, his intense devotion to his friends and followers, his intrepidity, his fearlessness, his absolute trust in Allah and his own mission…” (The statement was published in the “Young India” in 1924)

মহাত্মা গান্ধী বলেন, ‘…আমার বদ্ধমূল ধারণা যে, সেই সময়ে মানব জীবনে ইসলাম যে স্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছিলো তার মূল কারণ তরবারি নয়, বরং তা ছিল ইসলামের শৈথিল্যবিহীন সরলতা, নবীর একাগ্র বিনয়, অজুহাতের বিপরীতে নৈতিক অবস্থান, বন্ধু আর অনুসারীদের প্রতি প্রবল মনোযোগ, তাঁর সাহসীকতা, নির্ভীকতা এবং আল্লাহর উপর ও স্বীয় দায়িত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা…।” (এই বক্তব্য ১৯২৪ সালে ‘ইয়ং ইন্ডিয়া” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়)

6. Historian Alphonse de LaMartaine said: “Philosopher, orator, apostle, legislator, warrior, conqueror of ideas, restorer of rational dogmas of a cult without images, the founder of twenty terrestrial empires and one spiritual empire, that is MUHAMMAD. As regards all the standards by which Human Greatness may be measured, we may well ask, IS THERE ANY MAN GREATER THAN HE?”  (Lamartine Histoire De La Turquie, Paris, 1854, vol.2, page 276-277)

ফরাসী ইতিহাসবেত্তা আলফোস দ্য ল্যামারটেইন বলেছেন, ‘দার্শনিক, বক্তা, স্বর্গীয় বার্তাবাহক, আইন প্রয়োগকারী, যোদ্ধা, চিন্ত াধারার সংশোধনকারী, প্রতিমূর্তি বিহীন ও যুক্তিসম্মত ধর্ম মতের পুনঃপ্রতিষ্ঠাকারী, বিশটি ভূ-সাম্রাজ্য আর তাওহীদের প্রতিষ্ঠাতাই হলেন মুহাম্মাদ(সাঃ)। মানবীয় গুণাবলী পরিমাপের সকল মাপকাঠি বিবেচনায় এনে এককথায় আমরা বলতে পারি, তাঁর থেকে উত্তম মানুষ কি আর কেউ আছে ?” (Lamartine Histoire De La Turquie, প্যারিস, ১৮৫৪, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ২৭৬-২৭৭)

7. Reverend Bosworth Smith told: “He was Caesar and Pope in one; but he was Pope without Pope’s pretensions, Caesar without the legions of Caesar: without a standing army, without a bodyguard, without a palace, without a fixed revenue; if ever any man had the right to say that he ruled the right divine, it was Mohammed, for he had all power without its instruments and without its supports.” (Bosworth Smith, Muhammad and Mohammedanism, London, 1874, page 92.)

রেভেরেন্ড বসওর্থ স্মিথ বলেনঃ ‘তিনি ছিলেন একই সাথে একজন রাষ্ট্রনায়ক এবং ধর্ম প্রচারক। তাঁর মাঝে কোনো দাম্ভিকতা ছিল না। তিনি এমন রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন তবে যার কোনো বিশাল সৈন্যবাহিনী ছিল না, ছিল না কোন দেহরক্ষী অথবা কোন প্রাসাদ কিংবা নির্দিষ্ট কোন রাজস্ব বিভাগ। যদি কেউ কখনো দাবি করতে পারে যে সে যথার্থ  নিয়মে রাষ্ট্র শাসন করেছে, তবে সেই ব্যক্তি নিশ্চিতরূপে মুহাম্মাদ(সাঃ)। তিনি ছিলেন যাবতীয় দুনিয়াবী ভোগ বিলাস এবং উপকরণের অমুখাপেক্ষী।‘ (Muhammad and Mohammedanism, লন্ডন, ১৮৭৪, পৃষ্ঠা ৯২)

8. American author, historian and biographer Washington Irving said: “In his private dealings he was just. He treated friends and strangers, the rich and poor, the powerful and weak, with equity, and was beloved by the common people for the affability with which he received them, and listened to their complaints. His military triumphs awakened neither pride nor vain glory, as they would have done had they been effected for selfish purposes. In the time of his greatest power he maintained the same simplicity of manners and appearance as in the days of his adversity.” (Mahomet and his successors, 1850)

মার্কিন লেখক, ইতিহাসবিদ এবং জীবনীলেখক ওয়াশিংটন আরভিং লিখেছেনঃ ‘আচার আচরণে তিনি ছিলেন অত্যন্ত ন্যায়পরায়ণ। পরিচিত কিংবা অপরিচিত, ধনী অথবা গরীব, ক্ষমতাবান বা দুর্বল সকলের সাথে তিনি একই আচরণ করতেন। তিনি সকলের সাথেই শিষ্টাচার বজায় রাখতেন এবং সকলের অভিযোগ মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করতেন। এজন্য সাধারণ মানুষের কাছে তিনি ছিলেন অত্যন্ত ভালবাসার পাত্র। সামরিক বিজয়সমূহ তাঁর মাঝে কোন ধরনের অহংকার কিংবা দাম্ভিকতা সৃষ্টি করতে পারেনি। কারণ, যেহেতু সামরিক অভিযান সমূহের পিছনে তাঁর কোন ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য ছিল না। ক্ষমতার উচ্চ শিখরে উঠেও তিনি ঠিক তেমন ই ছিলেন যেমনি তিনি প্রতিকূল অবস্থায় ছিলেন।” (Mahomet and his successors, 1850)

9. MAJOR A. LEONARD told about Muhammad (pbuh): “If ever any man on this earth has found God; if ever any man has devoted his life for the sake of God with a pure and holy zeal then, without doubt, and most certainly that man was the Holy Prophet of Arabia”  (Islam, its Moral and Spiritual Values, page 9; 1909, London)

মেজর এ. লিওনার্ড মুহাম্মাদ(সাঃ) সম্পর্কে বলেনঃ ‘যদি এই পৃথিবীর কোন মানুষ সৃষ্টিকর্তাকে সন্তুষ্ট করে থাকে; যদি কোন মানুষ পবিত্র চিত্ত নিয়ে সৃষ্টিকর্তার জন্য আত্মনিয়োগ করে থাকে, তবে নিশ্চিতভাবে সেই মানুষ হলেন আরবের নবী (সাঃ)।” (Islam, its Moral and Spiritual Values, লন্ডন, ১৯০৯, পৃষ্ঠা ৯)

10. Diwan Chand Sharma wrote: “Mohammad was the soul of kindness, and his influence was felt and never forgotten by those around him.”  (D.C. Sharma, The Prophets of the East, Calcutta, 1935, page – 12)

দিওয়ান চান্দ শর্মা লিখেছেনঃ ‘মুহাম্মাদ(সাঃ) ছিলেন অত্যন্ত হৃদয়বান। এবং তিনি এত বেশি প্রভাবশালী ছিলেন যে তাঁর আশেপাশের মানুষ সব সময় তাঁর উপস্থিতি অনুভব করতেন।” (D. C. Sharma, The Prophets of the, কলকাতা, ১৯০৯, পৃষ্ঠা ৯)

11. John William Draper, M.D., L.L.D. wrote in his book: ÔFour years after the death of Justinian, A.D. 569, was born at Mecca, in Arabia the man who, of all men exercised the greatest influence upon the human race… To be the religious head of many empires, to guide the daily life of one-third of the human race, may justify the title of a Messenger of God.Ó (A History of the Intellectual Development of Europe, London 1875, Vol.1, pp.329-330)

জন উইলিয়াম ড্র্যাপার, এম. ডি., এল. এল. ডি. তার বইতে লিখেছেনঃ ‘জাস্টিনিয়ানের মৃত্যুর চার বছর পর ৫৬৯ খ্রিস্টাব্দে আরবের মক্কায় একজন মানুষের জন্ম হয়, যিনি মানব জাতির উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছিলেন… তাঁর জন্য বহু দেশের ধর্মীয় নেতা আর পৃথিবীর এক- তৃতীয়াংশ মানব জাতির দৈনন্দিন জীবনের পথ প্রদর্শক হওয়া ই প্রমাণ করে যে তিনি হলেন ঈশ্বরের বার্তাবাহক।” (A History of the Intellectual Development of Europe, লন্ডন, ১৮৭৫, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৩২৯-৩৩০)

12. S. P. Scott writes in his history book:  “If the object of religion be the inculcation of morals, the diminution of evil, the promotion of human happiness, the expansion of the human intellect, if the performance of good works will avail in the great day when mankind shall be summoned to its final reckoning it is neither irreverent nor unreasonable to admit that Muhammad was indeed an Apostle of God.” (History of the Moorish Empire in Europe, p. 126)

এস. পি. স্কট তার ইতিহাস বইতে লিখেছেন , ‘যদি ধর্মের মূলমন্ত্র হয় নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা করা, মন্দ দূরীভূত করা, মানুষের সুখ আনয়ন করা, মানব বুদ্ধির সম্প্রসারণ করা, যদি মানুষের কৃত ভাল কাজগুলো থেকে যায় সেই দিন পর্যন্ত যেই দিন মানুষকে ডাকা হবে চুড়ান্ত হিসাব-নিকাশ করার জন্য তবে এটা মেনে নেয়া কখনো অপ্রাসঙ্গিক হবে না যে মুহাম্মাদ(সাঃ) প্রকৃত অর্থে ঈশ্বরের প্রেরিত দূত।” (History of the Moorish Empire in Europe, পৃষ্ঠা ১২৬)

13. W. Montgomery Watt said about Muhammad (pbuh): “His readiness to undergo persecutions for his beliefs, the high moral character of the men who believed in him and looked up to him as leader, and the greatness of the ultimate achievement-all argue his fundamental integrity. To suppose Muhammad an impostor raised more problems than solves. Moreover, none of the great figures of history is so poorly appreciated in the West as Muhammad.” (W. Montgomery Watt, Muhammad at Mecca, Oxford, 1953, p. 52.)

ডবি−উ মন্টগমারি ওয়াট বলেনঃ ‘নিজের বিশ্বাসের জন্য তাঁর অত্যাচার-উৎপীড়ন সহ্য করার মানসিকতা, যাঁরা তাঁকে বিশ্বাস করেছিলেন এবং তাঁকে নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন তাঁদের সুউচ্চ নৈতিক চরিত্র এবং তাঁর চূড়ান্ত অর্জনের ব্যাপকতা- এ সব কিছুই তাঁর মৌলিক ন্যায়পরায়ণতার প্রমাণ বহন করে। মুহাম্মাদকে (সাঃ) একজন প্রতারক সাব্যস্ত করলে সমস্যা বাড়বে বৈ কমবে না। বস্তুত, পশ্চিমা দেশে ইতিহাসের মহান কোন মানুষকে এমন অবমূল্যায়ন করা হয়নি যেমন মুহাম্মাদকে (সাঃ) করা হয়েছে।” (W. Montgomery Watt, Muhammad at Mecca, পৃষ্ঠা ৫২)

14. A quotation from Napoleon Bonaparte written in Christian Cherfils    “I hope the time is not far off when I shall be able to unite all the wise and educated men of all the countries and establish a uniform regime based on the principles of Quran which alone are true and which alone can lead men to happiness.” (Napoleon Bonaparte as Quoted in Christian Cherfils, ‘Bonaparte et Islam,’ Pedone Ed., Paris, France, 1914, pages. 105, 125)

‘ক্রিশ্চিয়ান শেরফিলস” এ নেপোলিয়ান বোনাপার্টের একটি উদ্ধৃতি উলে − খ করা হয়েছেঃ ‘আমি আশা করি সেই সময় বেশি দূরে নয় যখন আমি সকল দেশের সকল জ্ঞানী আর সুশিক্ষিত মানুষদের একত্র করতে সক্ষম হব। আর কোরআনের নীতিসমূহের ভিত্তিতে একটি ভারসাম্যপূর্ণ শাসনব্যবস্হা স্থাপন করব। একমাত্র সত্য এই নীতিই কেবলমাত্র মানুষকে শান্তির পথ দেখাতে সক্ষম।”  (Bonaparte et Islam,, পেডন সংস্করণ, প্যারিস, ফ্রান্স, ১৯১৪, পৃষ্ঠা ১০৫, ১২৫)

15. Annie Besant wrote admiring the Prophet Muhammad (pbuh):  “It is impossible for anyone who studies the life and character of the great Prophet of Arabia, who knows how he taught and how he lived, to feel anything but reverence for that mighty Prophet, one of the great messengers of the Supreme.  … I myself feel whenever I re-read them, a new way of admiration, a new sense of reverence for that mighty Arabian teacher.” (Annie Besant, The Life and Teachings of Muhammad, Madras, 1932, page 4)

অ্যানি বেসান্ট মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রশংসা করে বলেনঃ ‘যদি কেউ সত্যিকার অর্থে আরবের মহান নবীর জীবনচরিত পড়ে থাকে, যদি কেউ জানতে পারে যে তিনি কীভাবে মানুষকে শিখিয়েছেন, কীভাবে তিনি জীবন অতিবাহিত করেছেন তবে পাঠক তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ছাড়া আর কোন মনোভাব পোষণ করতে পারবে না। তিনি ছিলেন একজন ক্ষমতাবান নবী, মহামহিম ঈশ্বর প্রেরিত প্রধান বার্তাবাহকদের অন্যতম।… আমি যতবার তাঁর জীবনী পড়ি ততবার ই আমার মনে আরবের এই ক্ষমতাবান শিক্ষকের প্রতি নতুন বিস্ময়বোধ এবং গভীর ভক্তির সঞ্চার হয়।” (Annie Besant, The Life and Teachings of Muhammad, মাদ্রাজ, ১৯৩২, পৃষ্ঠা ৪)

16. James A. Michener has told about Muhammad (pbuh): “No great religious leader has been so maligned as Prophet Mohammed. Attacked in the past as a heretic, an impostor, or a sensualist, it is still possible to find him referred to as “the false prophet.” A modern German writer accuses Prophet Mohammed of sensuality, surrounding himself with young women. This man was not married until he was twenty-five years of age, then he and his wife lived in happiness and fidelity for twenty-four years, until her death when he was forty-nine. Only between the age of fifty and his death at sixty-two did Prophet Mohammed take other wives, only one of whom was a virgin, and most of them were taken for dynastic and political reasons..” (James A. Michener, “Islam: The Misunderstood Religion,” in ReaderÕs Digest (American edition), May 1955, pp. 68-70.)

জেমস এ. মিশনার মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে বলেন, ‘কোন ধর্মীয় নেতাকে এত বেশি অপবাদ দেয়া হয়নি যতটা মুহাম্মাদ (সাঃ) কে দেয়া হয়েছে। অতীতে তাঁকে বলা হত প্রচলিত ধর্ম মতের বিরুদ্ধাচরণকারী, একজন ভন্ড, প্রবৃত্তির অনুসরণকারী। এমনকি আজকের দিনেও তাঁকে মিথ্যা নবী হিসেবে আখ্যা দেয়া হচ্ছে। একজন আধুনিক জার্মান লেখক তাঁকে ‘প্রবৃত্তির অনুসারী’ বলে দোষারোপ করেছে, বলেছে যে তিনি নাকি যুবতী নারী পরিবেষ্টিত থাকতেন। অথচ দেখুন এই মানুষটি ২৫ বছর পর্যন্ত অবিবাহিত ছিলেন, এরপর তিনি এবং তাঁর স্ত্রী সুখ ও বিশ্বস্ততার সাথে চব্বিশ বছর দাম্পত্য জীবন পার করেছেন, তাঁর বয়স যখন ৪৯ তাঁর স্ত্রী মারা যান। কেবল ৫০ থেকে ৬২ পর্যন্ত অর্থাৎ তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি অন্যান্য স্ত্রী গ্রহণ করেন যাদের মধ্যে শুধুমাত্র একজন ছিলেন কুমারী। আর বাকী বিবাহ সমূহের পিছনে কৌশলগত কিংবা রাজনৈতিক কারণ ছিল।” (ঔধসবং অ. গরপযবহবৎ, (James A. Michener, “Islam: The Misunderstood Religion”,  রিডার্স ডাইজেস্টের আমেরিকান সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছিল, মে ১৯৫৫, পৃষ্ঠা ৬৮-৭০)

17. Walter C. Taylor said: “So great was his liberality to the poor that he often left his household unprovided, nor did he content himself with relieving their wants, he entered into conversation with them, and expressed a warm sympathy for their sufferings. He was a firm friend and a faithful ally.” (The History of Mohammedanism and its Sects)

ওয়াল্টার সি. টেলর বলেছেন, ‘তাঁর (মুহাম্মাদ সাঃ) উদারতা এত বেশি ছিল যে তিনি প্রায়ই নিজের ঘরের মানুষদের অভুক্ত রেখে গরীবদের প্রয়োজন পূরণ করতেন। তিনি শুধু তাদের প্রয়োজন পূরণই করতেন না, তাদের সাথে বাক্যালাপ করতেন, তাদের দুর্দশায় উষ্ণ সহানুভূতি জানাতেন। তিনি ছিলেন একজন প্রকৃত বন্ধু।” (The History of Mohammedanism  and its Sects)

18. Jules Masserman wrote in an article: “Perhaps the greatest leader of all times was Mohammad, who combined all the three functions. To a lesser degree Moses did the same.”  (Jules Masserman in ‘Who Were HistoriesÕ Great Leaders?’ in TIME Magazine, July 15, 1974)

জুলস মেসারম্যান একটি নিবন্ধে লিখেছেনঃ ‘সম্ভবতঃ মুহাম্মাদ(সাঃ) ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা যিনি তিন প্রকার কর্মকান্ডকে একত্র করেছেন। মোজেসও (মুসা আঃ) একই কাজ করেছিলেন, তবে কম।” (জুলস মেসারম্যান এর নিবন্ধটি টাইম ম্যাগাজিনে ১৯৭৫ জুলাই মাসের ১৫ তারিখে প্রকাশিত হয় ‘Who were HistoriesÕ Great Leaders?’ শিরোনামে)

19. Dr. Gustav Weil wrote in his book “History of Islamic people”: “Muhammad was a shining example to his people. His character was pure and stainless. His house, his dress, his food – they were characterized by a rare simplicity. So unpretentious was he that he would receive from his companions no special mark of reverence, nor would he would accept any service from his slave which he could do for himself. He was accessible to all and at all times. He visited the sick and was full of sympathy for all. Unlimited was his benevolence and generosity as also was his anxious care for the welfare of the community.”  (Dr. Gustav Weil, “Geschichte der Islamischen Völker von Mohammed bis zur Zeit des Sultans Selim”, Stuttgart, Germany, 1866)

ড. গুস্তাভ ভীল তার “History of Islamic people” বইতে লিখেছেনঃ  ‘মুহাম্মাদ (সাঃ) তাঁর অনুসারীদের কাছে ছিলেন এক জ্বলন্ত উদাহরণ। তাঁর চরিত্র ছিল নির্ভেজাল, কলঙ্কমুক্ত। তাঁর ঘর, পোশাক, খাদ্যাভ্যাস ছিল বিরল সরলতায় মন্ডিত। তিনি এতটাই অনাড়ম্বর ছিলেন যে, না তিনি তাঁর অনুসারীদের কাছ থেকে ভক্তি স্বরূপ কিছু গ্রহণ করতেন আর না তিনি তাঁর দাস-দাসীদের কাছ থেকে কোন সেবা নিতেন। এসব তিনি চাইলে অনায়াসে পেয়ে যেতেন। তাঁর নিকট সর্বদা সকলের অবাধ প্রবেশাধিকার ছিল। তিনি অসুস্থদের কাছে যেতেন এবং সবার জন্য তিনি সমব্যথী ছিলেন। যেমন বিশাল ছিল তাঁর দয়া আর বদান্যতা, উম্মাহর কল্যাণার্থে তেমনি উদ্বিগ্ন ছিলেন তিনি।”  (জার্মান ভাষায় লিখিত বই ‘সুলতান সেলিমের সময় পর্যন্ত মহম্মদের ইসলামী জনগোষ্ঠীর ইতিহাস”, স্টুটগার্ট, জার্মানি, ১৮৬৬)

Tawba 24

Al Imran 64

আল্লাহর রাসুল (সা.) এর খাদেম আনাস (রা.) এর বক্তব্য

‘আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি দশ বছর রাসূলুল্লাহ (সা.) এর খেদমত করেছি। আল্লাহর শপথ! এই সময়ের মধ্যে তিনি কখনো ‘উহ’ (বিরক্তিসূচক শব্দও) করেন নি। কোনো কাজের জন্য কখনো তিনি বলেন নি, এই কাজটি কেনো করনি বা এই কাজটি কেন করেছো।’ (বুখারী ৬১৫১; মুসনাদে আহমদ ১৩০২১)

রাসুলুল্লাহ (সা:) এর চরিত্র সম্পর্কে সাহাবীদের বক্তব্য

‘ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বণির্ত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) কে আল্লাহর নিষিদ্ধ সীমা-রেখা লঙ্ঘন না হলে কখনো নিজের প্রতি জুলুম-নির্যাতনের কোনো প্রতিশোধ নিতে আমি দেখিনি। আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা ব্যতীত তিনি কখনো স্বীয় হাত দ্বারা কাউকে প্রহার করেননি এবং তিনি কখনো কোনো সেবক বা স্ত্রীকে প্রহার করেননি।’ (মুসলিম ৪২৯৬)

রাসুলুল্লাহ (সা:) এর চরিত্র সম্পর্কে তার স্ত্রী আয়শা (রা:) এর বক্তব্য

‘সা’দ ইবনে হিশাম ইবনে আমের বলেন, ‘আমি আয়েশা (রা:) এর কাছে এসে বললাম, আমাকে রাসুলুল্লাহ (সা:) এর চরিত্র সম্পর্কে বলুন। তিনি বললেন, তার চরিত্র তো হুবহু কুরআন। তুমি কি আল্লাহর এই বাণী পড়নি? ‘আর নিশ্চয় তুমি মহান চরিত্রের উপর অধিষ্ঠিত” (সূরা ক্বলাম, ৬৮:৪)।’(মুসনাদে আহমাদ ২৪৬০১, ২৫৩০২, ২৫৮১৩)

মূলত: একজন মানুষের সঠিক চরিত্র সম্পর্কে তার স্ত্রী-ই ভালো জানেন। নিজের মূল চরিত্র অন্যদের কাছে গোপন রাখা সম্ভব হলেও স্ত্রীর কাছে গোপন থাকে না। সে কারণেই হয়তো ঐ ব্যক্তি আয়েশা (রা:) কে প্রশ্ন করলেন। উত্তরে আয়েশা (রা:) বিষয়টি এমনভাবে উপস্থাপন করলেন যার দৃষ্টান্ত সত্যিই বিরল।

রাসুল (সা.) এর চরিত্র সম্পর্কে কুরআনের বক্তব্য

দুনিয়ার নিয়ম হলো কাউকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার আগে তার চারিত্রিক সনদ তলব করা হয়। এজন্য এলাকার কমিশনার অথবা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার বা চেয়ারম্যানগণ সার্টিফিকেট প্রদান করেন। যাতে লেখা থাকে, ‘আমার জানা মতে লোকটি সৎ চরিত্রের অধিকারী’, যদিও অধিকাংশের ক্ষেত্রে তাদের নিজের চরিত্রেরই কোনো খবর থাকে না। অথচ রাসুলুল্লাহ (সা.) এর চারিত্রিক সার্টিফিকেট দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ (সুব.)। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছেঃ  “নিশ্চয় আপনি মহান চরিত্রের উপর অধিষ্ঠিত।” (৬৮:৪)

ভূমিকা – উন্মুক্ত তরবারি – মুফতী মুহাম্মদ জসীমুদ্দীন রাহমানী

সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য। আমরা কেবলমাত্র তাঁরই প্রসংশা করি এবং তাঁর কাছেই সাহায্য চাই এবং তাঁর কাছেই ক্ষমা প্রার্থণা করি। এবং তার কাছেই হেদায়েত চাই। আমরা আমাদের নফসের সকল অনিষ্টতা এবং সকল কর্মের ভূল-ভ্রান্তি থেকে তাঁর কাছেই আশ্রয় চাই। তিনি যাকে হেদায়েত দান করেন কেউ তাকে গোমরাহ করতে পারে না। আর তিনি যাকে গোমরাহ হতে দেন কেউ তাকে হেদায়েত দিতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই, তিনি এক ও একক, তার কোন শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সা:) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর প্রেরিত রাসূল। আমি ঘোষণা করছি যে, সর্বাধিক সত্যকথা, আল্লাহর কালাম (আল্লাহর কথা)। আর সর্বাধিক উত্তম আদর্শ, মুহাম্মাদ (সা:) এর আদর্শ। সর্বাধিক উত্তম কাজ, কুরআন-সুন্নাহে বর্ণিত কাজ। আর সর্বাধিক মন্দ কাজ, কুরআন-সুন্নাহ বিবর্জিত বিদ’আত কাজ এবং সকল বিদ’আত গোমরাহী আর সকল গোমরাহীর পরিণাম জাহান্নাম।

আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে নবুওয়্যাত প্রাপ্তির শুরু থেকেই অনেক বিরোধিতা হয়েছে কিন্তু কেউ তার চরিত্র নিয়ে কোন কটুক্তি করতে পারেনি। মক্কার কুখ্যাত নেতা আবু লাহাব, আবু জাহেলরা যতই বিরোধিতা করুক তারা রাসূলুল্লাহ (সা.) এর মহান চরিত্রের উপর কোনো প্রকার আপত্তি করেনি। কিন্তু বর্তমানে মুসলিম নামধারী একদল পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত, জ্ঞানপাপী, ইয়াহুদী-খ্রিস্টানদের পাঁ-চাটা গোলাম তথা কথিত ব − গার চক্র মক্কার কুখ্যাত কাফের আবু জাহেল, আবু লাহাবদেরও হার মানিয়ে মুহাম্মাদ (সা.) এর বিরূদ্ধে কাল্পণীক কিচ্ছা- কাহিনী তৈরী করে নানা প্রকার কুরুচিপূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট কটুক্তি করে যাচ্ছে। দাউদ হায়দার (রঙ্গিলা রাসূলের লিখক), সালমান রুশদী (দি স্যাটানিক ভার্সেসের লিখক), তাসলিমা নাসরীন, হুমায়ুন আজাদ (পাক সার জমিন সাদ বাদ প্রবন্ধের লিখক), আহাম্মক শরীর (আহম্মদ শরিফ), কবি শামসুর রহমান, কবির চৌধুরী, ড. জাফর ইকবাল গংদের একদল ভাবশিষ্য আহমদ রাজীব ওরফে থাবা বাবা, আসীফ মহিউদ্দিন, অরিফুর রহমান, ইবরাহীম খলীলসহ কিছু ব − গার আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ (সা.) ও ইসলামের গুরুত্বপূর্ন বিধান ও আহকামকে নিয়ে এমন কিছু কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে যা কোনো সভ্য মানুষ ভাষায় প্রকাশ করতে পারবে না।

উন্মুক্ত তরবারী ৭ এর মাধ্যমে মূলত দেশি-বিদেশি কাফের, নাস্তিক, মুরতাদ প্রভুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পার্থিব স্বার্থ হাসিল করাই এদের মূল উদ্দেশ্য। কারণ বর্তমান যুগে কেউ যদি কাফের-মুশরিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায় এবং তাদের আস্থাভাজন হতে চায় তার জন্য সহজ উপায় হলো ইসলামের বিরূদ্ধে অথবা স্বয়ং আল−াহর বিরূদ্ধে অথবা আল্লাহর রাসূল (সা.) এর বিরূদ্ধে বক্তৃতা-বিবৃতি প্রদান করা ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা। নতুন প্রজন্মের অন্তর থেকে আল−াহর প্রতি আস্থা ও ঈমান, রাসূলুল্লাহ (সা.) এর প্রতি ভালোবাসা এবং ইসলামের বিধানের প্রতি আনুগত্যের বিষয়গুলোকে উৎখাত করে তার পরিবর্তে ঘৃণা-বিদ্বেষ তৈরী করাই এদের মূল টার্গেট। এভাবে ইসলামকে এবং ইসলামের সকল বিষয়গুলোকে বিতর্কিত করার মাধ্যমে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে ইসলাম ও মুসলিমকে নির্মূল করাই এদের উদ্দেশ্য। পাকিস্তানের মালালা কাহিনী, বাংলাদেশের শাহবাগের প্রজন্ম কাহিনী ইয়াহুদি-খ্রিস্টান ও নাস্তিক-মুরতাদদের সেই নীল নকশারই বাস্তব রূপ। বিশেষ করে বাংলাদেশকে তুরস্কের মতো তথা কথিত ধর্ম নিরপেক্ষ (মূলত ইসলাম বিদ্বেষী) একটি রাষ্ট্র বানাতে একদল মানুষ উঠে পরে লেগেছে। এরা কোনোভাবেই ইসলাম, মুসলিম, আল − াহ, মুহাম্মদ ইত্যাদি নাম পর্যন্ত বরদাশত করতে পারে না। সে কারণে ‘নজরুল ইসলাম’ হল থেকে ‘ইসলাম’ কেটে শুধু নজরুল হল, ‘সলিমুল − াহ মুসলিম হল’ থেকে ‘মুসলিম’ শব্দ কেটে দিয়ে শুধু ‘সলিমুল্লাহ হল’, সর্বোপরি সংবিধান থেকে ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা’ মুছে ফেলে দিয়ে এখন মুসলিমদের অন্তর থেকেও এগুলো মুছে ফেলার জন্য পাঁয়তারা চলছে। এহেন মূহুর্তে এই সব ইসলামের দুশমনদের মুখোশ উম্মোচন করে দিয়ে তাদের সম্পর্কে মুসলিম জাতিকে সোচ্চার করা এবং তাদের বিরূদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা প্রতিটি মুসলিমদের উপর ঈমানী দায়িত্ব। সে দায়িত্ব আঞ্জাম দেওয়ার জন্যই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। এ বইতে পাঁচটি অধ্যায় রয়েছে। প্রথম অধ্যায়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর মহান চরিত্র নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়েছে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে বর্তমান যুগের মুসলিম নামধারী নাস্তিক-মুরতাদদের কিছু বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। তৃতীয় অধ্যায়ে এ জাতীয় নাস্তিক-মুরতাদদের ব্যাপারে ইসলামী শরিয়তের ফয়সালা ও বিধান আলোচনা করা হয়েছে। চতুর্থ অধ্যায়ে আমাদের করণীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে ও পঞ্চম অধ্যায়ে ঈমান ভঙ্গের কারণ ও উসূলে তাকফীর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আল্লাহ (সুব.) আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল নাস্তিক- মুরতাদদের বিরূদ্ধে সীসাঢালা লৌহ প্রাচীরের ন্যায় দৃঢ় সংকল্প নিয়ে মোকাবেলা করার তাওফিক দান করুন। আমীন!

মুফতী মুহাম্মদ জসীমুদ্দীন রাহমানী

তারিখ : ০৫-০৩-২০১৩ ইং

নতুন লেকচার – হে নওজোয়ানঃ মাসুদ আজহার (হাফি.)

Hey Nowjuan

প্রকাশিত হলো

উর্দু থেকে বাংলায় অনুবাদকৃত

নতুন লেকচার

হে নওজোয়ান

মূল বক্তাঃ মাসুদ আযহার (হাফি.)

ডাউনলোড লিংক এখানে ক্লিক করুন

download-buttons

পরিবেশনায়

তাওহীদ মিডিয়া

তাওহীদ মিডিয়া

সময়ের গুরুত্ব (ভিডিও) – শাইখ তামিম আল-আদনানী (হাফি.)

Somoyer Gurutto

তিতুমীর মিডিয়া পরিবেশিত

“সময়ের গুরুত্ব”

কণ্ঠ দিয়েছেনঃ শাইখ তামিম আল-আদনানী (হাফিজাহুল্লাহ)

ডাউনলোড লিঙ্ক

হাই কোয়ালিটি (৮৩.৬ মেগাবাইট)

download-buttons

অথবা

download-buttons

লো কোয়ালিটি (১৪.৬ মেগাবাইট)

download-buttons

অথবা

download-buttons

আর্কাইভ পেজ থেকে দেখুন

ActiveArchiveLogo