ব্লগ আর্কাইভস

ফাইনাল রেন্ডারঃ তাওহীদি জনতার প্রতি আহ্বান (পর্ব-২)

Final Rander - 2 moroccotoindonesia.wordpress.com

Final Rander – 2

আল্লাহ সুবহাহু ওয়াতালা বলেছেনঃ “হে মুমিনগন, তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে আওলিয়া, বন্ধু, অভিভাবক, রক্ষক হিসেবে গ্রহণ করো না। কারন তারা একে অপরের আওলিয়া। তোমাদের মধ্যে যে তাঁদেরকে বন্ধু হিসেবে মেনে নিবে, সাহায্যকারী হিসেবে মেনে নিবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ্‌ জালিমদেরকে পথ পদর্শন করেন না।”এই মুরতাদ সরকার গুলো এদেশে ইহুদী, খ্রিস্টান, হিন্দুদের কুফুরি/শির্কি আদর্শ ও ক্রিষ্টি কালচার প্রচার প্রসার করছে। এবং কুফুর সরকার হিসেবে ইহুদী, খ্রিস্টান, হিন্দুদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। এদের শিক্ষানীতি, এদের নারিনিতি আমাদের এই মুসলমান দেশে চাপিয়ে দিচ্ছে। এর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের আলেম সমাজ অনেক আন্দোলন, সংগ্রাম করেছেন। সেই সব আন্দোলনের কারনে অনেক আলেম, অনেক মাদ্রাসার ছাত্র শহীদ হয়েছেন। জেল জরিমানার শিকার হয়েছেন। এই নাস্তিক মুরতাদ সরকার সমুহ ইহুদি, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, হিন্দুদের বন্ধু ও আওলিয়া হয়ে ইতিমধ্যে দ্বীন ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে গেছে।

এরই পরিক্রমায় এদেশের সকল নাস্তিক মুরতাদ ব্লগার চক্রকে ইহুদী নাসাদের পা চাটা গোলাম সরকার নিরাপত্তা দিচ্ছে, সমর্থন দিচ্ছে। তরুন সমাজকে বিভ্রান্ত করে ওদের মতো নাস্তিক মুরতাদ হিসেবে তৈরি করার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিচ্ছে। এদেশের মুসলমানদের গায়ে এক বিন্দু রক্ত থাকতে এই জঘন্য পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না, ইনশা-আল্লাহ্‌। এই নাস্তিক মুরতাদ রাজিব ওরুফে থাবা বাবা, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর বাবু, অনন্ত বিজয়, নিলয় নীলদেরকে ডিজিটাল মুরিতাদ সরকার শহীদ হিসেবে আখ্যায়িত করছে। হিন্দু বৌদ্ধ মুসলমান সবাইকে নিয়ে এই ডিজিটাল মুর্তাদ সরকার এই নাস্তিকের (রাজিব) জানাজার নামাজ আদায় করে দ্বীন ইসলামকে নিয়ে ঠাট্টা করেছে। এই নাস্তিক মুর্তাদ রাজিব ওরুফে থাবা বাবা, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর বাবু, অনন্ত বিজয়, নিলয় নীলেরা যা করতো ব্লগে সেতা বাস্তবে রূপায়ন করে দেখিয়েছে এই ডিজিটাল মুরতাদ সরকার। আল্লাহ্‌ তাদের উপর লা’নত বর্ষণ করুন।

প্রাণপ্রিয় তাওহীদি জনতা, এটা আমাদের সবার কাছে সবার কাছে সুস্পষ্ট যে, এই সব মানব রচিত কুফুরি মত পন্থি দল (যেমনঃ আওয়ামীলীগ, বি.এন.পি, জাতীয়পার্টি ইত্যাদি) কে ভোট দেয়া, সমর্থন করা, তাদের পক্ষে মিছিল মিটিং করা, তাদেরকে অর্থনৈতিক ভাবে সহযোগিতা করা, তাদের পক্ষে কথা বলা, তাদের পক্ষে কলম ধরা ইত্যাদি সবই হচ্ছে শির্ক, কুফুর, হারাম ও বিদয়াত।

আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন বলেছেনঃ “আপনি কি তাদেরকে দেখেন নি যে, তারা দাবি করে তারা আপনার প্রতি যা অবতির্ন হয়েছে এবং আপনার পূর্বে যা অবতির্ন হয়েছে আমরা সে বিষয়ের উপর ঈমান এনেছি। কিন্তু তারা বিরোধীয় বিষয়কে তাগুতের দিকে নিয়ে যেতে চায়।”

ঈমানের দাবি করার পর কুফুরি আইন ব্যবস্থায় শুধু মাত্র বিচার চাওয়ার ইচ্ছা থাকায় আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন তাদের ঈমানের দাবীকে নাকচ করে দিয়েছেন। তাহলে এই কুফুফি শির্কি আইন, বিধান, মতবাদের জন্য যারা কাজ করে তাদের ব্যাপারে ইসলামের হুকুম কি হতে পারে? ভালোভাবে চিন্তা করুন।

সালফে সালেহিনগণ, মুজিতাহিদ ইমামগণ ও পরবর্তি যুগের ইমামগণের মধ্যে এবং সকল মাজহাবের এ ব্যপারে ইজমা রয়েছে যে কোন মুসলিম এলাকার শাসকের মধ্যে এই রখপন সুস্পষ্ট কুফুরি দেখা গেলে তাঁর সাথে সসস্ত্র জীহাদ, ক্বীতাল করে তাঁকে হটিয়ে ইসলামী শরিয়ত জারি করা হচ্ছে ওই এলাকার সামর্থবানদের উপর ফরজে আ’ইন। আর যদি সামর্থ না থাকে তাহলে শক্তি সামর্থ অর্জন  করা হচ্ছে ফরজে আ’ইন। আর সেই শাসকদের সমর্থনে যদি কোন বাহিনী থাকে তাহলে তবে এই মুরতাদ বাহিনী সহ ওই সরকারকে উৎখাত করা হচ্ছে ফরজে আ’ইন।

এর দলীল হলো ওবায়দা ইবনে সাবেদ (রা) বর্ণিত হাদিস। এখানে তিনি বলেছেনঃ রাসুলুল্লাহ (সা) আমাদেরকে ডাকলেন। এবং আমরা তাঁকে বায়াত দিলাম। তিনি তখন আমাদের থেকে যে বায়াত নেন তার মধ্যে ছিলোঃ আমরা শুনবো ও মানবো আমাদের অনুরাগে ও বিরাগে, আমাদের সংকটে ও সাচ্ছন্দে এবং আমাদের উপর অন্যকে প্রাধান্য দিলেও যোগ্য ব্যাক্তির সাথে আমরা নেত্রিত্ত নিয়ে কোন্দল করবো না। রাসুল (সা) বললেনঃ যতক্ষন না তোমরা তার মধ্যে কোন প্রকাশ্য কুফুরি দেখতে পাবে। এবং তোমাদের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে আল্লাহর পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট দলীল থাকবে।

উল্লেখ্যিত হাদিস থেকে এ বিষয়টি স্পষ্ট বুঝে আসে যে আল্লাহ রাসুল (সা) এ ব্যপারে বায়াত নিলেন আনুগত্ত্বতার জন্য শাসকদের। কিন্তু শাসকদের মাঝে যদি সুস্পষ্ট কুফুরি দেখা যায় তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রহ করার জন্য আল্লাহর রাসুল (সা) অনুমোদনও দিয়েছেন।

এ ব্যপারে ইজমা উল্লেখ্য করে সহিহ বুখারীর ভাষ্যকার আল্লামা বদরুদ্দিন আইনী (রাহি) বলেছেনঃ “দাউদী (রাহি) বলেছেন, আলেমরা এ ব্যপারে একমত যে, শাসক জালিম হলে যদি সামর্থ থাকে ফিতনা ও জুলুম ছাড়া তাঁকে অপসারন করার তাহলে তা ওয়াজিব। তা না হলে ধৈর্য্য ধরা ওয়াজিব।” অন্যরা বলেছেনঃ ফাসিক ও বিদয়াতির কাছে নেতৃত্ব দেয়া যাবে না। যদি সে প্রথমে ন্যায় পরায়ন থাকে ও পরে বিদাত ও জুলুম করে তাহলে তাঁর অপসারন ও বিরুদ্ধাচারন এর ব্যাপারে মতবেধ রয়েছে। সঠিক মত হচ্ছে তা না করা, যতক্ষন না সে কুফুরি করে। যদি সে কুফুরি করে তখন তাকে অপশারন ও তার বিরুদ্ধাচরন করা ওয়াজিব হয়ে যায়। ইমদাদুল ক্বারী, সারহে সাহীহুল বুখারী, কিতাবুল ফিতান এর মধ্যে এই বিষয়টি উল্লেখ্যিত রয়েছে।

এ চাড়াও এই মুরতাদ সরকার গুলোর নিরাপত্তা দানকারী বাহিনী সমূহ (যেমনঃ র‍্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আর্মি ইত্যাদি) হচ্ছে কুফুরের বাহিনী। তাদের সাথে যুদ্ধ করাও আমাদের উপর ফরজ। এরাই মুরতাদ সরকারের নির্দেশক্রমে আন্দোলনরত আলেম ওলামে হয়রানী করছে, আলেম ঊলামাদেরকে কোন সভা সমাবেশ বা মতবিনিময় পর্যন্ত করতে দিচ্ছে না। এরাই এই তাওহীদি জনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাওহীদি জনতার রক্ত ঝরাচ্ছে। দেশ রক্ষার অজুহাত দেখিয়ে এই মুরতাদ সরকার গুলো এই বাহিনী গুলোর অনেককে ধোকায় ফেলে আল্লাহ্‌র দ্বীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত করে রেখেছে। আর অন্যান্যরা দুনিয়ার সামান্য বেতনের লোভে তাদের আখেরাতকে বিক্রয় করে দিয়েছে।

এদের ব্যপারে আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন বলেছেনঃ “যারা ঈমানদার তারা লড়াই করে আল্লাহ্‌র পথে। আর যারা কাফের তারা লড়াই করে তাগুতের পথে। সুতরাং তোমরা লড়াই করতে থাকো শয়তানের আওলিয়াদের বিরুদ্ধে। আর শয়তানের চক্রান্ত একান্তই দুর্বল”

যারা দ্বীন ইসলাম কায়েমের চেষ্টা করে এই বাহিনীগুলো তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এদেশের মুরুতাদ সরকারগুলো এই মুরতাদ নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমেই তাদের কুফুরি শির্কি আইন জারি রেখেছে। মুরতাদ বাহিনী গুলো না থাকলে এই কাফের মুরতাদ সরকার এদেশের মানুষের উপর তাদের এই শির্কি আইন এক দিনও কায়েম রাখতে পারতো না।

তাই এই জমিনে আল্লাহ্‌র রাসুল (সা) এর ব্যপারে কটুক্তি ও তামাশা বন্ধ করতে হলে এই জমিনে দ্বীন ইসলাম এর শরিয়তকে বিজয় করার জন্য আমাদেরকে সর্বাত্তক জিহাদ ও ক্বিতাল করতে হবে। দল মত মাজহাব মাসলাখ নির্বিশেষে ফুরুয়ী ইখতিলাফ ছেড়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আমরা সবাই এই দ্বীন ক্বায়েমের জিহাদে শরীক হবো। আমরা আনসার হবো। আমরা মুজাহিদ হবো। নিজেদের জান ও মাল আল্লাহ্‌র রাস্তায় কোরবানি দিবো ইনশা-আল্লাহ্‌।

আল্লাহ্‌র দ্বীন ও শরীয়ত এই জমিনে কায়েম না করে আমরা ঘরে দিরে যাবো না ইনশা-আল্লাহ্‌।

আমাদের সবার কন্ঠে ঘোষিত হোক, “হয়তো শরিয়ত, নয়তো শাহাদাৎ”।

আমরা কি সেই উত্তম ব্যবসায় শামিল হবো না? যে ব্যপারে আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন বলেছেনঃ “হে ঈমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বানিজ্যের সন্ধান দিবো? যা তমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি দিবে। আর তা হলো এই যে, তোমরা আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসুল (সা) এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং আল্লাহ্‌র পথে নিজেদের ধন সম্পদ জীবন পন সবকিছু দিয়ে জিহাদ করবে।এটাও তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানো।”

আল্লাহ্‌ আমাদের সকলকে হক্ব কে হক্ব হিসেবে চিনার এবং অনুস্মরণ করা তৌফিক দিন। এবং বাত্বিলকে বাত্বিল হিসে চিনার এবং এর থেকে দূরে থাকার তৌফিক দান করুন। আমীন।

আমরা এই আহ্বানটি সকলের কাছে পৌছে দিবো ইনশাআল্লাহ্‌।

হে আল্লাহ্‌ আমরা সত্য পৌঁছে দিয়েছি

হে আল্লাহ্‌ আমরা সত্য পৌঁছে দিয়েছি

হে আল্লাহ্‌ আমরা সত্য পৌঁছে দিয়েছি