ব্লগ আর্কাইভস

ফাইনাল রেন্ডারঃ আলেমদের প্রতি আহ্বান (পর্ব-৩)

ফাইনাল রেন্ডারঃ আলেমদের প্রতি আহ্বান (পর্ব-৩)

ফাইনাল রেন্ডারঃ আলেমদের প্রতি আহ্বান (পর্ব-৩)

সম্মানিত উলামায়েকেরামগণ, আপনারা সম্মানিত। আল্লাহ্‌ আপনাদের সম্মানিত করেছেন। আপনারা আম্বিয়াগণের ওয়ারিশ। আপনারা আমাদের উপর দায়িত্বশীল। বর্তমানে আমাদের সামনে হযরত মুহাম্মদ (সা) কিংবা তাঁর কোন সাহাবা উপস্থিত নেই। তাই আমরা যেকোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে সিদ্ধান্তের জন্য আপনাদের দিকে চেয়ে থাকি। নিশ্চয়ই আমাদের ব্যাপারে আপনাদের আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

সম্মানিত উলামাগণ, বর্তমান পরিস্থিতিতে কি এই নাস্তিক মুর্তাদ ব্লগারদেরকে একটা একটা করে ধরে কতল করা আমাদের দায়িত্ব নয় ? সম্মানিত উলামাগণ, এই নাস্তিক মুঈতাদ ব্লগারদেরকে সম্মান দেয়া, রক্ষা করা, তাদের পক্ষ নেয়া ও কুফুরি আইন দিয়ে এদেশ পরিচালনা করা যা একটি সুস্পষ্ট কুফুরি।

এইসব অগনিত কারণে কি এই কাফের মুর্তাদ সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদ ও ক্বিতালে নেমে যাওয়া আমাদের উপর ফরজ নয় ? বিশেষত যখন সালফেসালেহিনদের এ ব্যাপারে ইজমা আছে। যখন সকল মাঝহাবের বড় বড় উলামায়েকেরাম এ ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করেছেন।

সম্মানিত উলামায়েকেরামগণ, যদি জিহাদ ক্বিতাল করা এখন আমাদের উপর ফরজ না হয়, তাহলে এই পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয় কি ? দয়াকরে সুস্পষ্টভাবে একটু বর্ণনা করুন। সম্মানিত উলামায়েকেরামগণ, রাসুল (সা) এর অপমান আমাদের আর সহ্য হচ্ছে না। এদেশের ১৫ কোটি মুসলমানদের মাঝে ইনশাআল্লাহ্‌ মরদে মুজাহিদ ও বীরদের অভাব নেই। আল্লাহ্‌ চাইলে আপনারা তাদেরকে পাশে পাবেন। আপনারা আল্লাহর উপর ভরসা করে শুধুমাত্র তাঁর জন্য সত্য উচ্চারন করুন। আজ যে তাওহীদি জনতা জেগেছে, তাদেরকে সর্বদা আপনাদের আশেপাশে এভাবে পাওয়া যায় না। আপনারা আজ তাদের সামনে প্রাণ খুলে হক্ব বয়ান করে দিন। নাস্তিক ব্লগার চক্র ও তাদের রক্ষাকারী মুর্তাদ সরকারের এই দ্বীনকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা আর কতোদিন চলবে ? আর কতোদিন আমরা এই তন্ত্র মন্ত্রের নিষ্পেষণে বন্দী থাকবো ? আর কতদিন আমাদের চোখের সামনে এই দ্বীনকে লাঞ্চিত হতে দেখবো ? আমরা কেনো সেই অন্ধ সাহাবী (রা) এর মতো আমল করতে পারবো না ? আমরা কেনো এই নাস্তিক মুর্তাদ ব্লগার চক্রকে চিনহিত করে কতল কতল করতে পারবো না ? আমরা কেনো আবু বকর সিদ্দিক (রা) এর সময়ে মুর্তাদদের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিলো সে অনুযায়ী এবং সাহাবায়েকেরামদের ইজমা অনুযায়ী আমল করতে পারবো না ? তাঁরা তো সে সময়ের মুর্তাদদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র জিহাদ ও ক্বিতাল করেছেন। যুদ্ধরত কাফেরদের তুলনায় মুর্তাদদেরকে বেশি ক্ষতিকর মনে করে তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্তক ক্বিতালে নেমেছিলেন। তবে আমরা কেনো ঘরে বসে থাকবো ? আর কেনই বা ইহুদী খ্রিস্টানদের এই এজেন্ট সরকারের কাছে কাকুতি মিনতি করতে থাকবো ? এদেশে প্রতিনিয়ত রাসুল (সা)কে নিয়ে, দ্বীন ইসলামকে নিয়ে হাসি তামাশা করা হচ্ছে। মুর্তাদ মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা দম্ভহারে বলে বেড়াচ্ছে, এদেশে অন্যকোন আইন চলবে না, কোরআন সুন্নাহর আইন চলবে না, তাহলে এদেশে কি আজীবন কাফেরদের বানানো আইন চলবে ? আর আমরা মুসলমান জনগন কি বসে থাকবো ? এর স্থায়ী সমাধান কি দ্বীন ইসলামে নেই ? এর স্থায়ী সমাধান কি তা আজ আপনারা এই তাওহিদি জনতার সামনে স্পষ্ট রূপে বর্ণনা করে দিন।

সম্মানিত উলামায়েকেরামগণ, এর আগেওতো তাসলিমা নাসরিন নামক এক মুর্তাদ মহিলা এরকম করেছে। আগেওতো এদেশে আন্দোলন হয়েছে। তবে কি এধরনের আচরন বারংবারই হতে থাকবে ? এর কি কোন স্থায়ী সমাধান নেই ? ইসলামী শরীয়ত বাস্তবায়ন ছাড়া এক/দুইটা আইন প্রণয়ন করে কি এটা কখনো বন্ধ করা সম্ভব ? এই সমস্যার জন্য জন্য কি ইসলাম আমাদের এটাই শিক্ষা দেয়, যে আমরা এই জালিম ও মুর্তাদ সরকারের কাছে শুধু আবেদন ও নিবেদন পেশ করতে থাকবো ? দ্বীন ইসলাম কি এতোই দুর্বল হয়ে গেলো ? দ্বীন ইসলাম কি এতোই দুর্বল হয়ে গেলো ? দ্বীন ইসলাম কি এতোই দুর্বল হয়ে গেলো ?

সম্মানিত উলামায়েকেরামগণ, আপনারা এর আগেও নারীনীতি, শিক্ষানীতি ইত্যাদীর ব্যাপারে আন্দোলন করেছেন। ঐসমস্ত আন্দোলনের ফলাফল কি, সেটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আপনাদের ঐ আন্দোলনকে শেষ পর্যন্ত কোন পথে পরিচালনা করা হয়েছে ? বারংবার তো এটাই করা করা হয়েছে যে, আপনাদের আন্দোলনের কারণে এই মুর্তাদ সরকার সাময়িক ভাবে তা মেনে নেবার ভান করেছে, কিছুদিন যাবার পরে গোপনে তারা আবার তাদের আগের কার্যক্রমে ফিরে গেছে। তারা শুধু চার কোনভাবে আলেম সমাজকে শান্ত করে মসজিদে মাদ্রাসায় ফিরিয়ে দিতে। তাহলে আবার নিশ্চিন্তে কুফুরের রাজত্ব করতে পারবে।

সম্মানিত উলামায়েকেরামগণ, বর্তমানে নারীনীতি, শিক্ষানীতির হাল কি ? তাকি আপনারা খবর রেখেছেন ? প্রিয় উলামায়েকেরামগণ, মুমিনগণ একই গর্তে দুইবার পা ফেলে না। তাই আমরাও এবার একই গর্তে পা ফেলতে চাই না। এবার আমরা এর শেষ দেখে যেতে চাই। এর একটি স্থায়ী সমাধানের দিকে আমাদের যেতে হবে, ইনশাআল্লাহ্‌।

হে নবীদের উত্তরাধিকারীগণ, আমাদেরকি ইসলামী শরিয়তের ছায়ার নিচে বাস করার অধিকার নেই ? কারা আমাদের এই অধিকার কেড়ে নিয়েছে ? এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এদেরকে এদেশ থেকে বিতারিত করতে হবে। কোন অধিকারে এদেশের ইহুদী খ্রিস্টানদের এজেন্ট মুর্তাদ সরকারেরা কোরআনের বাইন বাতিল করে দিয়েছে ? মুঘল শাসনামলে এদেশে ইসলামি শরীয়ত চালু ছিলো। ইংরেজরা এদেশ দখল করার পর এদেশে ইস্প্লামি শরিয়ত এর প্রয়োগ বন্ধ করে দেয়। তারা যাবার পর সেই দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে খ্রিস্টান ও ইংরেজদের এদেশীয় শীর্ষ নাস্তিক মুর্তাদ ও সুবিধাবাদী এই রাজনীতিবিদরা।

শাহ্‌ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দেসি (রাহি) কর্তৃক তৎকালীন ভারত উপমহাদেশকে দারুল হারব ঘোষণার পরিস্থিতি কি এদেশে এখনো বিদ্যমান নেই ? ইংরেজরা চলে গেছে তো কি হয়েছে ? তাদের শিশ্যরা তো ইংরেজদের থেকে আরও মারাত্মক ভাবে দ্বীন ইসলামের উপর আক্রমন করে যাচ্ছে। আর এসব মুর্তাদ সরকার এসব কার্যক্রম এ সবার আগে রয়েছে। তাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।

হে নবীদের উত্তরাধিকারীগণ, এই পরিস্থিতিতে আপনারা কিভাবে চুপ করে থাকতে পারেন ? এই ব্যাপারে কি আপনাদের আল্লাহর সামনে জবাবদিহি করতে হবে না ?

সম্মানিত উলামায়েকেরামগণ, আপনারা আপনাদের নেতৃত্যের আসনে ফিরে আসুন। আপনারা এদেশের ইসলাম প্রিয় তাওহিদি জনতাদেকে পরিচালিত করুন। আপনারা এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার দ্বায়িত্ব গ্রহন করুন। এদেশকে এদেশের তথাকথিত এই রাজনীতি বিদদের কাছে ছেড়ে দিলে কখনোই এসব সমস্যার সমাধান হবে না।

সম্মানিত উলামায়েকেরামগণ, আমাদেরকে আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীনের ওই কথা মনে রাখতে হবে, যেখানে তিনি বলেছেন, “হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যে এই দ্বীন থেকে ফিরে যাবে, অচিরেই আল্লাহ্‌ এমন এক সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন যাদেরকে তিনি ভালোবাসবেন এবং তারাও তাঁকে ভালোবাসবেন। তারা মুসলমানদের প্রতি বিনয়ী ও নম্র হবে, এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে এবং কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারে ভীত হবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ। তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন, আল্লাহ্‌ প্রাচুর্য্য দানকারী, মহাজ্ঞানী।” আল্লাহ্‌ যাতে আমাদেরকে অন্যকোন সম্প্রদায় দ্বারা বদল করে না দেন।

আলেমদের ইজমা মতে আ,আদের উপর দায়িত্ব হচ্ছে, সুস্পষ্ট কুফুরি কাজ সম্পাদনকারী এসব সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। এদেরকে হটিয়ে ইসলামি শরিয়ত কায়েম করা। আমরা এই কাজ আঞ্জাম না দিলে আল্লাহ্‌ আমাদেরকে বদল করে দিতে পারেন। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে রক্ষা করুন।

আল্লাহ্‌ তায়া বলেন, “যদি তোমরা জিহাদে বের না হও, তাহলে আল্লাহ্‌ তোদের মর্মান্তিক আজাব দিবেন। এবং অপর এক জাতি দ্বারা তোমাদের স্থলাবিশিষ্ট করবেন। তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আর আল্লাহ্‌ সর্ব বিষয়ে শক্তিমান।”

সম্মানিত উলামায়েকেরামগণ, আপনাদেরকে মোল্লা মুহাম্মদ উমর (রাহি) এর মতো এদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে। এদেশে সম্পূর্ণ ইসলামি শরীয়ত কায়েম করতে হবে। এজন্য আমাদের সকলের জান ও মাল কোরবানি করতে হবে।

হে আলেম সমাজ, আপনারা এদেশের ১৫ কোটি ইসলামপ্রিয় তাওহিদি জনতাকে নেতৃত্য দিন। এসব নাস্তিক মুর্তাদ ও তাদের সাহায্যকারী রাজনীতিবিদদের নেতৃত্য আর এই তাওহিদি জনতা চায় না। আপনারা এই পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করুন। আমরা আপনাদের নেতৃত্ব চাই।

যদি আফগানিস্তানের আলেম উলামারা দেশ পরিচালনা করতে পারেন, তাহলে বাংলাদেশের আলেম উলামারাও এদেশ পরিচালনা করতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ্‌। কারন আল্লাহ্‌ আপনাদের সাথে থাকবেন।

সম্মানিত উলামায়েকেরামগণ, আসুন আমরা শপথ নেই যে, এদেশে ইসলামী শরীয়তের বিজয়ের আগ পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না, ইনশাআল্লাহ্‌।

সবাই বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তুলুন, “হয়তো শরীয়ত নয়তো শাহাদাৎ” “ইম্মাশশারীয়াহ ওয়া ইম্মাশশাহাদাহ” নারায়ে তাকবীর “আল্লাহু আকবার”

হে আল্লাহ্‌ তুমি সাক্ষী থাকো, আমরা সত্য পৌঁছে দিয়েছি।

হে আল্লাহ্‌ তুমি সাক্ষী থাকো, আমরা সত্য পৌঁছে দিয়েছি।

হে আল্লাহ্‌ তুমি সাক্ষী থাকো, আমরা সত্য পৌঁছে দিয়েছি।

ফাইনাল রেন্ডারঃ তাওহীদি জনতার প্রতি আহ্বান (পর্ব-২)

Final Rander - 2 moroccotoindonesia.wordpress.com

Final Rander – 2

আল্লাহ সুবহাহু ওয়াতালা বলেছেনঃ “হে মুমিনগন, তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে আওলিয়া, বন্ধু, অভিভাবক, রক্ষক হিসেবে গ্রহণ করো না। কারন তারা একে অপরের আওলিয়া। তোমাদের মধ্যে যে তাঁদেরকে বন্ধু হিসেবে মেনে নিবে, সাহায্যকারী হিসেবে মেনে নিবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ্‌ জালিমদেরকে পথ পদর্শন করেন না।”এই মুরতাদ সরকার গুলো এদেশে ইহুদী, খ্রিস্টান, হিন্দুদের কুফুরি/শির্কি আদর্শ ও ক্রিষ্টি কালচার প্রচার প্রসার করছে। এবং কুফুর সরকার হিসেবে ইহুদী, খ্রিস্টান, হিন্দুদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। এদের শিক্ষানীতি, এদের নারিনিতি আমাদের এই মুসলমান দেশে চাপিয়ে দিচ্ছে। এর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের আলেম সমাজ অনেক আন্দোলন, সংগ্রাম করেছেন। সেই সব আন্দোলনের কারনে অনেক আলেম, অনেক মাদ্রাসার ছাত্র শহীদ হয়েছেন। জেল জরিমানার শিকার হয়েছেন। এই নাস্তিক মুরতাদ সরকার সমুহ ইহুদি, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, হিন্দুদের বন্ধু ও আওলিয়া হয়ে ইতিমধ্যে দ্বীন ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে গেছে।

এরই পরিক্রমায় এদেশের সকল নাস্তিক মুরতাদ ব্লগার চক্রকে ইহুদী নাসাদের পা চাটা গোলাম সরকার নিরাপত্তা দিচ্ছে, সমর্থন দিচ্ছে। তরুন সমাজকে বিভ্রান্ত করে ওদের মতো নাস্তিক মুরতাদ হিসেবে তৈরি করার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিচ্ছে। এদেশের মুসলমানদের গায়ে এক বিন্দু রক্ত থাকতে এই জঘন্য পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না, ইনশা-আল্লাহ্‌। এই নাস্তিক মুরতাদ রাজিব ওরুফে থাবা বাবা, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর বাবু, অনন্ত বিজয়, নিলয় নীলদেরকে ডিজিটাল মুরিতাদ সরকার শহীদ হিসেবে আখ্যায়িত করছে। হিন্দু বৌদ্ধ মুসলমান সবাইকে নিয়ে এই ডিজিটাল মুর্তাদ সরকার এই নাস্তিকের (রাজিব) জানাজার নামাজ আদায় করে দ্বীন ইসলামকে নিয়ে ঠাট্টা করেছে। এই নাস্তিক মুর্তাদ রাজিব ওরুফে থাবা বাবা, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর বাবু, অনন্ত বিজয়, নিলয় নীলেরা যা করতো ব্লগে সেতা বাস্তবে রূপায়ন করে দেখিয়েছে এই ডিজিটাল মুরতাদ সরকার। আল্লাহ্‌ তাদের উপর লা’নত বর্ষণ করুন।

প্রাণপ্রিয় তাওহীদি জনতা, এটা আমাদের সবার কাছে সবার কাছে সুস্পষ্ট যে, এই সব মানব রচিত কুফুরি মত পন্থি দল (যেমনঃ আওয়ামীলীগ, বি.এন.পি, জাতীয়পার্টি ইত্যাদি) কে ভোট দেয়া, সমর্থন করা, তাদের পক্ষে মিছিল মিটিং করা, তাদেরকে অর্থনৈতিক ভাবে সহযোগিতা করা, তাদের পক্ষে কথা বলা, তাদের পক্ষে কলম ধরা ইত্যাদি সবই হচ্ছে শির্ক, কুফুর, হারাম ও বিদয়াত।

আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন বলেছেনঃ “আপনি কি তাদেরকে দেখেন নি যে, তারা দাবি করে তারা আপনার প্রতি যা অবতির্ন হয়েছে এবং আপনার পূর্বে যা অবতির্ন হয়েছে আমরা সে বিষয়ের উপর ঈমান এনেছি। কিন্তু তারা বিরোধীয় বিষয়কে তাগুতের দিকে নিয়ে যেতে চায়।”

ঈমানের দাবি করার পর কুফুরি আইন ব্যবস্থায় শুধু মাত্র বিচার চাওয়ার ইচ্ছা থাকায় আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন তাদের ঈমানের দাবীকে নাকচ করে দিয়েছেন। তাহলে এই কুফুফি শির্কি আইন, বিধান, মতবাদের জন্য যারা কাজ করে তাদের ব্যাপারে ইসলামের হুকুম কি হতে পারে? ভালোভাবে চিন্তা করুন।

সালফে সালেহিনগণ, মুজিতাহিদ ইমামগণ ও পরবর্তি যুগের ইমামগণের মধ্যে এবং সকল মাজহাবের এ ব্যপারে ইজমা রয়েছে যে কোন মুসলিম এলাকার শাসকের মধ্যে এই রখপন সুস্পষ্ট কুফুরি দেখা গেলে তাঁর সাথে সসস্ত্র জীহাদ, ক্বীতাল করে তাঁকে হটিয়ে ইসলামী শরিয়ত জারি করা হচ্ছে ওই এলাকার সামর্থবানদের উপর ফরজে আ’ইন। আর যদি সামর্থ না থাকে তাহলে শক্তি সামর্থ অর্জন  করা হচ্ছে ফরজে আ’ইন। আর সেই শাসকদের সমর্থনে যদি কোন বাহিনী থাকে তাহলে তবে এই মুরতাদ বাহিনী সহ ওই সরকারকে উৎখাত করা হচ্ছে ফরজে আ’ইন।

এর দলীল হলো ওবায়দা ইবনে সাবেদ (রা) বর্ণিত হাদিস। এখানে তিনি বলেছেনঃ রাসুলুল্লাহ (সা) আমাদেরকে ডাকলেন। এবং আমরা তাঁকে বায়াত দিলাম। তিনি তখন আমাদের থেকে যে বায়াত নেন তার মধ্যে ছিলোঃ আমরা শুনবো ও মানবো আমাদের অনুরাগে ও বিরাগে, আমাদের সংকটে ও সাচ্ছন্দে এবং আমাদের উপর অন্যকে প্রাধান্য দিলেও যোগ্য ব্যাক্তির সাথে আমরা নেত্রিত্ত নিয়ে কোন্দল করবো না। রাসুল (সা) বললেনঃ যতক্ষন না তোমরা তার মধ্যে কোন প্রকাশ্য কুফুরি দেখতে পাবে। এবং তোমাদের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে আল্লাহর পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট দলীল থাকবে।

উল্লেখ্যিত হাদিস থেকে এ বিষয়টি স্পষ্ট বুঝে আসে যে আল্লাহ রাসুল (সা) এ ব্যপারে বায়াত নিলেন আনুগত্ত্বতার জন্য শাসকদের। কিন্তু শাসকদের মাঝে যদি সুস্পষ্ট কুফুরি দেখা যায় তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রহ করার জন্য আল্লাহর রাসুল (সা) অনুমোদনও দিয়েছেন।

এ ব্যপারে ইজমা উল্লেখ্য করে সহিহ বুখারীর ভাষ্যকার আল্লামা বদরুদ্দিন আইনী (রাহি) বলেছেনঃ “দাউদী (রাহি) বলেছেন, আলেমরা এ ব্যপারে একমত যে, শাসক জালিম হলে যদি সামর্থ থাকে ফিতনা ও জুলুম ছাড়া তাঁকে অপসারন করার তাহলে তা ওয়াজিব। তা না হলে ধৈর্য্য ধরা ওয়াজিব।” অন্যরা বলেছেনঃ ফাসিক ও বিদয়াতির কাছে নেতৃত্ব দেয়া যাবে না। যদি সে প্রথমে ন্যায় পরায়ন থাকে ও পরে বিদাত ও জুলুম করে তাহলে তাঁর অপসারন ও বিরুদ্ধাচারন এর ব্যাপারে মতবেধ রয়েছে। সঠিক মত হচ্ছে তা না করা, যতক্ষন না সে কুফুরি করে। যদি সে কুফুরি করে তখন তাকে অপশারন ও তার বিরুদ্ধাচরন করা ওয়াজিব হয়ে যায়। ইমদাদুল ক্বারী, সারহে সাহীহুল বুখারী, কিতাবুল ফিতান এর মধ্যে এই বিষয়টি উল্লেখ্যিত রয়েছে।

এ চাড়াও এই মুরতাদ সরকার গুলোর নিরাপত্তা দানকারী বাহিনী সমূহ (যেমনঃ র‍্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আর্মি ইত্যাদি) হচ্ছে কুফুরের বাহিনী। তাদের সাথে যুদ্ধ করাও আমাদের উপর ফরজ। এরাই মুরতাদ সরকারের নির্দেশক্রমে আন্দোলনরত আলেম ওলামে হয়রানী করছে, আলেম ঊলামাদেরকে কোন সভা সমাবেশ বা মতবিনিময় পর্যন্ত করতে দিচ্ছে না। এরাই এই তাওহীদি জনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাওহীদি জনতার রক্ত ঝরাচ্ছে। দেশ রক্ষার অজুহাত দেখিয়ে এই মুরতাদ সরকার গুলো এই বাহিনী গুলোর অনেককে ধোকায় ফেলে আল্লাহ্‌র দ্বীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত করে রেখেছে। আর অন্যান্যরা দুনিয়ার সামান্য বেতনের লোভে তাদের আখেরাতকে বিক্রয় করে দিয়েছে।

এদের ব্যপারে আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন বলেছেনঃ “যারা ঈমানদার তারা লড়াই করে আল্লাহ্‌র পথে। আর যারা কাফের তারা লড়াই করে তাগুতের পথে। সুতরাং তোমরা লড়াই করতে থাকো শয়তানের আওলিয়াদের বিরুদ্ধে। আর শয়তানের চক্রান্ত একান্তই দুর্বল”

যারা দ্বীন ইসলাম কায়েমের চেষ্টা করে এই বাহিনীগুলো তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এদেশের মুরুতাদ সরকারগুলো এই মুরতাদ নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমেই তাদের কুফুরি শির্কি আইন জারি রেখেছে। মুরতাদ বাহিনী গুলো না থাকলে এই কাফের মুরতাদ সরকার এদেশের মানুষের উপর তাদের এই শির্কি আইন এক দিনও কায়েম রাখতে পারতো না।

তাই এই জমিনে আল্লাহ্‌র রাসুল (সা) এর ব্যপারে কটুক্তি ও তামাশা বন্ধ করতে হলে এই জমিনে দ্বীন ইসলাম এর শরিয়তকে বিজয় করার জন্য আমাদেরকে সর্বাত্তক জিহাদ ও ক্বিতাল করতে হবে। দল মত মাজহাব মাসলাখ নির্বিশেষে ফুরুয়ী ইখতিলাফ ছেড়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আমরা সবাই এই দ্বীন ক্বায়েমের জিহাদে শরীক হবো। আমরা আনসার হবো। আমরা মুজাহিদ হবো। নিজেদের জান ও মাল আল্লাহ্‌র রাস্তায় কোরবানি দিবো ইনশা-আল্লাহ্‌।

আল্লাহ্‌র দ্বীন ও শরীয়ত এই জমিনে কায়েম না করে আমরা ঘরে দিরে যাবো না ইনশা-আল্লাহ্‌।

আমাদের সবার কন্ঠে ঘোষিত হোক, “হয়তো শরিয়ত, নয়তো শাহাদাৎ”।

আমরা কি সেই উত্তম ব্যবসায় শামিল হবো না? যে ব্যপারে আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন বলেছেনঃ “হে ঈমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বানিজ্যের সন্ধান দিবো? যা তমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি দিবে। আর তা হলো এই যে, তোমরা আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসুল (সা) এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং আল্লাহ্‌র পথে নিজেদের ধন সম্পদ জীবন পন সবকিছু দিয়ে জিহাদ করবে।এটাও তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানো।”

আল্লাহ্‌ আমাদের সকলকে হক্ব কে হক্ব হিসেবে চিনার এবং অনুস্মরণ করা তৌফিক দিন। এবং বাত্বিলকে বাত্বিল হিসে চিনার এবং এর থেকে দূরে থাকার তৌফিক দান করুন। আমীন।

আমরা এই আহ্বানটি সকলের কাছে পৌছে দিবো ইনশাআল্লাহ্‌।

হে আল্লাহ্‌ আমরা সত্য পৌঁছে দিয়েছি

হে আল্লাহ্‌ আমরা সত্য পৌঁছে দিয়েছি

হে আল্লাহ্‌ আমরা সত্য পৌঁছে দিয়েছি