ব্লগ আর্কাইভস

ফাইনাল রেন্ডারঃ আলেমদের প্রতি আহ্বান (পর্ব-৩)

ফাইনাল রেন্ডারঃ আলেমদের প্রতি আহ্বান (পর্ব-৩)

ফাইনাল রেন্ডারঃ আলেমদের প্রতি আহ্বান (পর্ব-৩)

সম্মানিত উলামায়েকেরামগণ, আপনারা সম্মানিত। আল্লাহ্‌ আপনাদের সম্মানিত করেছেন। আপনারা আম্বিয়াগণের ওয়ারিশ। আপনারা আমাদের উপর দায়িত্বশীল। বর্তমানে আমাদের সামনে হযরত মুহাম্মদ (সা) কিংবা তাঁর কোন সাহাবা উপস্থিত নেই। তাই আমরা যেকোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে সিদ্ধান্তের জন্য আপনাদের দিকে চেয়ে থাকি। নিশ্চয়ই আমাদের ব্যাপারে আপনাদের আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

সম্মানিত উলামাগণ, বর্তমান পরিস্থিতিতে কি এই নাস্তিক মুর্তাদ ব্লগারদেরকে একটা একটা করে ধরে কতল করা আমাদের দায়িত্ব নয় ? সম্মানিত উলামাগণ, এই নাস্তিক মুঈতাদ ব্লগারদেরকে সম্মান দেয়া, রক্ষা করা, তাদের পক্ষ নেয়া ও কুফুরি আইন দিয়ে এদেশ পরিচালনা করা যা একটি সুস্পষ্ট কুফুরি।

এইসব অগনিত কারণে কি এই কাফের মুর্তাদ সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদ ও ক্বিতালে নেমে যাওয়া আমাদের উপর ফরজ নয় ? বিশেষত যখন সালফেসালেহিনদের এ ব্যাপারে ইজমা আছে। যখন সকল মাঝহাবের বড় বড় উলামায়েকেরাম এ ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করেছেন।

সম্মানিত উলামায়েকেরামগণ, যদি জিহাদ ক্বিতাল করা এখন আমাদের উপর ফরজ না হয়, তাহলে এই পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয় কি ? দয়াকরে সুস্পষ্টভাবে একটু বর্ণনা করুন। সম্মানিত উলামায়েকেরামগণ, রাসুল (সা) এর অপমান আমাদের আর সহ্য হচ্ছে না। এদেশের ১৫ কোটি মুসলমানদের মাঝে ইনশাআল্লাহ্‌ মরদে মুজাহিদ ও বীরদের অভাব নেই। আল্লাহ্‌ চাইলে আপনারা তাদেরকে পাশে পাবেন। আপনারা আল্লাহর উপর ভরসা করে শুধুমাত্র তাঁর জন্য সত্য উচ্চারন করুন। আজ যে তাওহীদি জনতা জেগেছে, তাদেরকে সর্বদা আপনাদের আশেপাশে এভাবে পাওয়া যায় না। আপনারা আজ তাদের সামনে প্রাণ খুলে হক্ব বয়ান করে দিন। নাস্তিক ব্লগার চক্র ও তাদের রক্ষাকারী মুর্তাদ সরকারের এই দ্বীনকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা আর কতোদিন চলবে ? আর কতোদিন আমরা এই তন্ত্র মন্ত্রের নিষ্পেষণে বন্দী থাকবো ? আর কতদিন আমাদের চোখের সামনে এই দ্বীনকে লাঞ্চিত হতে দেখবো ? আমরা কেনো সেই অন্ধ সাহাবী (রা) এর মতো আমল করতে পারবো না ? আমরা কেনো এই নাস্তিক মুর্তাদ ব্লগার চক্রকে চিনহিত করে কতল কতল করতে পারবো না ? আমরা কেনো আবু বকর সিদ্দিক (রা) এর সময়ে মুর্তাদদের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিলো সে অনুযায়ী এবং সাহাবায়েকেরামদের ইজমা অনুযায়ী আমল করতে পারবো না ? তাঁরা তো সে সময়ের মুর্তাদদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র জিহাদ ও ক্বিতাল করেছেন। যুদ্ধরত কাফেরদের তুলনায় মুর্তাদদেরকে বেশি ক্ষতিকর মনে করে তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্তক ক্বিতালে নেমেছিলেন। তবে আমরা কেনো ঘরে বসে থাকবো ? আর কেনই বা ইহুদী খ্রিস্টানদের এই এজেন্ট সরকারের কাছে কাকুতি মিনতি করতে থাকবো ? এদেশে প্রতিনিয়ত রাসুল (সা)কে নিয়ে, দ্বীন ইসলামকে নিয়ে হাসি তামাশা করা হচ্ছে। মুর্তাদ মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা দম্ভহারে বলে বেড়াচ্ছে, এদেশে অন্যকোন আইন চলবে না, কোরআন সুন্নাহর আইন চলবে না, তাহলে এদেশে কি আজীবন কাফেরদের বানানো আইন চলবে ? আর আমরা মুসলমান জনগন কি বসে থাকবো ? এর স্থায়ী সমাধান কি দ্বীন ইসলামে নেই ? এর স্থায়ী সমাধান কি তা আজ আপনারা এই তাওহিদি জনতার সামনে স্পষ্ট রূপে বর্ণনা করে দিন।

সম্মানিত উলামায়েকেরামগণ, এর আগেওতো তাসলিমা নাসরিন নামক এক মুর্তাদ মহিলা এরকম করেছে। আগেওতো এদেশে আন্দোলন হয়েছে। তবে কি এধরনের আচরন বারংবারই হতে থাকবে ? এর কি কোন স্থায়ী সমাধান নেই ? ইসলামী শরীয়ত বাস্তবায়ন ছাড়া এক/দুইটা আইন প্রণয়ন করে কি এটা কখনো বন্ধ করা সম্ভব ? এই সমস্যার জন্য জন্য কি ইসলাম আমাদের এটাই শিক্ষা দেয়, যে আমরা এই জালিম ও মুর্তাদ সরকারের কাছে শুধু আবেদন ও নিবেদন পেশ করতে থাকবো ? দ্বীন ইসলাম কি এতোই দুর্বল হয়ে গেলো ? দ্বীন ইসলাম কি এতোই দুর্বল হয়ে গেলো ? দ্বীন ইসলাম কি এতোই দুর্বল হয়ে গেলো ?

সম্মানিত উলামায়েকেরামগণ, আপনারা এর আগেও নারীনীতি, শিক্ষানীতি ইত্যাদীর ব্যাপারে আন্দোলন করেছেন। ঐসমস্ত আন্দোলনের ফলাফল কি, সেটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আপনাদের ঐ আন্দোলনকে শেষ পর্যন্ত কোন পথে পরিচালনা করা হয়েছে ? বারংবার তো এটাই করা করা হয়েছে যে, আপনাদের আন্দোলনের কারণে এই মুর্তাদ সরকার সাময়িক ভাবে তা মেনে নেবার ভান করেছে, কিছুদিন যাবার পরে গোপনে তারা আবার তাদের আগের কার্যক্রমে ফিরে গেছে। তারা শুধু চার কোনভাবে আলেম সমাজকে শান্ত করে মসজিদে মাদ্রাসায় ফিরিয়ে দিতে। তাহলে আবার নিশ্চিন্তে কুফুরের রাজত্ব করতে পারবে।

সম্মানিত উলামায়েকেরামগণ, বর্তমানে নারীনীতি, শিক্ষানীতির হাল কি ? তাকি আপনারা খবর রেখেছেন ? প্রিয় উলামায়েকেরামগণ, মুমিনগণ একই গর্তে দুইবার পা ফেলে না। তাই আমরাও এবার একই গর্তে পা ফেলতে চাই না। এবার আমরা এর শেষ দেখে যেতে চাই। এর একটি স্থায়ী সমাধানের দিকে আমাদের যেতে হবে, ইনশাআল্লাহ্‌।

হে নবীদের উত্তরাধিকারীগণ, আমাদেরকি ইসলামী শরিয়তের ছায়ার নিচে বাস করার অধিকার নেই ? কারা আমাদের এই অধিকার কেড়ে নিয়েছে ? এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এদেরকে এদেশ থেকে বিতারিত করতে হবে। কোন অধিকারে এদেশের ইহুদী খ্রিস্টানদের এজেন্ট মুর্তাদ সরকারেরা কোরআনের বাইন বাতিল করে দিয়েছে ? মুঘল শাসনামলে এদেশে ইসলামি শরীয়ত চালু ছিলো। ইংরেজরা এদেশ দখল করার পর এদেশে ইস্প্লামি শরিয়ত এর প্রয়োগ বন্ধ করে দেয়। তারা যাবার পর সেই দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে খ্রিস্টান ও ইংরেজদের এদেশীয় শীর্ষ নাস্তিক মুর্তাদ ও সুবিধাবাদী এই রাজনীতিবিদরা।

শাহ্‌ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দেসি (রাহি) কর্তৃক তৎকালীন ভারত উপমহাদেশকে দারুল হারব ঘোষণার পরিস্থিতি কি এদেশে এখনো বিদ্যমান নেই ? ইংরেজরা চলে গেছে তো কি হয়েছে ? তাদের শিশ্যরা তো ইংরেজদের থেকে আরও মারাত্মক ভাবে দ্বীন ইসলামের উপর আক্রমন করে যাচ্ছে। আর এসব মুর্তাদ সরকার এসব কার্যক্রম এ সবার আগে রয়েছে। তাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।

হে নবীদের উত্তরাধিকারীগণ, এই পরিস্থিতিতে আপনারা কিভাবে চুপ করে থাকতে পারেন ? এই ব্যাপারে কি আপনাদের আল্লাহর সামনে জবাবদিহি করতে হবে না ?

সম্মানিত উলামায়েকেরামগণ, আপনারা আপনাদের নেতৃত্যের আসনে ফিরে আসুন। আপনারা এদেশের ইসলাম প্রিয় তাওহিদি জনতাদেকে পরিচালিত করুন। আপনারা এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার দ্বায়িত্ব গ্রহন করুন। এদেশকে এদেশের তথাকথিত এই রাজনীতি বিদদের কাছে ছেড়ে দিলে কখনোই এসব সমস্যার সমাধান হবে না।

সম্মানিত উলামায়েকেরামগণ, আমাদেরকে আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীনের ওই কথা মনে রাখতে হবে, যেখানে তিনি বলেছেন, “হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যে এই দ্বীন থেকে ফিরে যাবে, অচিরেই আল্লাহ্‌ এমন এক সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন যাদেরকে তিনি ভালোবাসবেন এবং তারাও তাঁকে ভালোবাসবেন। তারা মুসলমানদের প্রতি বিনয়ী ও নম্র হবে, এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে এবং কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারে ভীত হবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ। তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন, আল্লাহ্‌ প্রাচুর্য্য দানকারী, মহাজ্ঞানী।” আল্লাহ্‌ যাতে আমাদেরকে অন্যকোন সম্প্রদায় দ্বারা বদল করে না দেন।

আলেমদের ইজমা মতে আ,আদের উপর দায়িত্ব হচ্ছে, সুস্পষ্ট কুফুরি কাজ সম্পাদনকারী এসব সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। এদেরকে হটিয়ে ইসলামি শরিয়ত কায়েম করা। আমরা এই কাজ আঞ্জাম না দিলে আল্লাহ্‌ আমাদেরকে বদল করে দিতে পারেন। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে রক্ষা করুন।

আল্লাহ্‌ তায়া বলেন, “যদি তোমরা জিহাদে বের না হও, তাহলে আল্লাহ্‌ তোদের মর্মান্তিক আজাব দিবেন। এবং অপর এক জাতি দ্বারা তোমাদের স্থলাবিশিষ্ট করবেন। তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আর আল্লাহ্‌ সর্ব বিষয়ে শক্তিমান।”

সম্মানিত উলামায়েকেরামগণ, আপনাদেরকে মোল্লা মুহাম্মদ উমর (রাহি) এর মতো এদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে। এদেশে সম্পূর্ণ ইসলামি শরীয়ত কায়েম করতে হবে। এজন্য আমাদের সকলের জান ও মাল কোরবানি করতে হবে।

হে আলেম সমাজ, আপনারা এদেশের ১৫ কোটি ইসলামপ্রিয় তাওহিদি জনতাকে নেতৃত্য দিন। এসব নাস্তিক মুর্তাদ ও তাদের সাহায্যকারী রাজনীতিবিদদের নেতৃত্য আর এই তাওহিদি জনতা চায় না। আপনারা এই পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করুন। আমরা আপনাদের নেতৃত্ব চাই।

যদি আফগানিস্তানের আলেম উলামারা দেশ পরিচালনা করতে পারেন, তাহলে বাংলাদেশের আলেম উলামারাও এদেশ পরিচালনা করতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ্‌। কারন আল্লাহ্‌ আপনাদের সাথে থাকবেন।

সম্মানিত উলামায়েকেরামগণ, আসুন আমরা শপথ নেই যে, এদেশে ইসলামী শরীয়তের বিজয়ের আগ পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না, ইনশাআল্লাহ্‌।

সবাই বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তুলুন, “হয়তো শরীয়ত নয়তো শাহাদাৎ” “ইম্মাশশারীয়াহ ওয়া ইম্মাশশাহাদাহ” নারায়ে তাকবীর “আল্লাহু আকবার”

হে আল্লাহ্‌ তুমি সাক্ষী থাকো, আমরা সত্য পৌঁছে দিয়েছি।

হে আল্লাহ্‌ তুমি সাক্ষী থাকো, আমরা সত্য পৌঁছে দিয়েছি।

হে আল্লাহ্‌ তুমি সাক্ষী থাকো, আমরা সত্য পৌঁছে দিয়েছি।

ফাইনাল রেন্ডারঃ তাওহীদি জনতার প্রতি আহ্বান (পর্ব-১)

ফাইনাল রেন্ডারঃ তাওহীদি জনতার প্রতি আহ্বান (পর্ব-১)

ফাইনাল রেন্ডারঃ তাওহীদি জনতার প্রতি আহ্বান (পর্ব-১)

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম। আলহামদুলিল্লাহ, আসসালাতু আসসালামু আলা রসুলিল্লাহ।

সম্মানিত মুসলিম ভাই ও বোনেরা, আমরা মুসলিম জাতি। হযরত মুহাম্মদ (সা) এর উম্মত। আমরা একমাত্র আল্লাহরই ইবাদত করি। আমরা আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করি না। আমরা আল্লাহর হুকুমের বাইরে অন্য কারো আনুগত্য করি না। আমরা একমাত্র আল্লাহরই আইন মানি। তাঁর আইন ছাড়া হাসিনা, খালেদা, এরশাদ কিংবা এজাতীয় কোন তাগুত মুরতাদদের বানানো মানব রচিত কুফুরি আইন আমরা মানি না। তাওহীদের কালিমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” আমাদের এসব কিছুই শিক্ষা দেয়। মুহাম্মদ (সা)-ই আমাদের দ্বীনী, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, রাষ্ট্রীয়, আন্তর্জাতিক সকল ক্ষেত্রে একক ও একমাত্র আদর্শ। অন্য কোন জাতীয়, বিজাতীয় ব্যাক্তি- হোক সেটা গান্ধী কিংবা জিন্নাহ, মুজিব কিংবা জিয়া, মওসেতুন কিংবা প্লেটু আমাদের আদর্শ হতে পারে না। আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন বলেছেনঃ “নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য যারা আল্লাহর কাছে ও আখেরাতে আশা রাখে তাদের জন্য আল্লাহর রাসুল (সা) এর মধ্যেই রয়েছে উত্তম আদর্শ”।

সম্মানিত মুসলিম ভাই ও বোনেরা, রাসুলুল্লাহ (সা) কে কটুক্তিকারী কিংবা হেয়োকারীর শাস্তি হচ্ছে কতল তথা হত্যা। ইমাম মালেক (রাহি) ও ইমাম আহমদ (রাহি) বলেছেনঃ “এই শ্রেণীর অপরাধীরা তওবা করলেও তাদেরকে হত্যা করতে হবে।”

আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন বলেছেনঃ “বলো, তোমরা কি আল্লাহ্‌, তাঁর আয়াত, তাঁর রাসুল (সা) এর বেপারে তামাশা করছিলে? কোন অজুহাত পেশ করো না, তোমরা কাফের হয়ে গেছো-ঈমান আনার পর”

রাসুলুল্লাহ (সা) কে গালিদানকারী কিংবা কটুক্তিকারীদেরকে সাহাবী গন কারো অনুমতি ছাড়াই, কারো হুকুমের অপেক্ষা না করেই হত্যা করেছেন। এবং রাসুলুল্লাহ (সা) পরবর্তিতে তা অনুমোদন করেছেন।

এ ব্যাপারে এক দাসী হত্যার ঘটনা আবু দাউদের ৪৩৬১ এবং সুনানে নাসায়ীতে ৪০৮১ নম্বর হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হাদিসটির সারাংশ নিম্নরূপঃ

একজন অন্ধ সাহাবী, যার একজন দাসী ছিলো। যে ছিলো তাঁর উম্মু ওয়ালাদ। কিন্তু এই দাসী আল্লাহর রাসুল (সা)কে অভিশাপ দিতো। তাঁকে এই কাজ না করার করার জন্য সেই অন্ধ সাহাবী সাবধান করার পরেও সেই দাসী বিরত হতো না। এক রাতে সেই দাসী আল্লাহর রাসুল (সা) কে অভিশাপ দিয়েই যাচ্ছিলো। তখন সেই অন্ধ সাহাবী একটু ছুরি নিয়ে সেই দাসীর পেটে বিদ্ধ করলেন এবং চাপ দিতে থাকলেন যতক্ষন না সেই দাসির মৃত্যু হয়। সকালে আল্লাহ্‌র রাসুল (সা) এর নিকট খবর পৌছলো। আল্লাহ্‌র রাসুল (সা) লোকজনকে একত্রিত করে বললেনঃ “আমি আল্লাহর নামে তোমাদের আদেশ করছি, যে এই কাজটি করেছো সে উঠে দাঁড়াও।” সেই সাহাবী উঠে দাঁড়ালেন। এবং রাসুল (সা) এর সামনে এসে বলতে লাগলেনঃ “হে আল্লাহর রাসুল, আমিই সেই ব্যাক্তি-যে তাকে হত্যা করেছে। সে আপনাকে অভিশাপ দিতো এবং তাঁকে বিরত হতে বলার পরেও সে বিরত হত না। তাঁর গর্ভ থেকে আমার মুক্তার মত সন্তান হয়েছে এবং সে নিজেও আমার প্রতি খুব সদয় ছিলো। কিন্তু গতরাতে সে আপনাকে অভিশাপ দিতে লাগলো। তারপর আমি ছুরি দিয়ে আঘাত করলাম ও হত্যা করলাম।”

আল্লাহ্‌র রাসুল (সা) বললেনঃ “জেনে রেখো, ঐ মহিলার কোন রক্তমূল্য নেই” (সুবহান আল্লাহ্‌) 

ঠিক তেমনি ভাবে রাজিব ওরুফে থাবা বাবা, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর বাবু, অনন্ত বিজয়, নিলয় নীল দের রক্তের কোন মূল্য নেই। যারাই রাসুলুল্লাহ (সা) কে নিয়ে তামাশা করবে, কটুক্তি করবে তাদের রক্তের কোন মূল্য নেই।

ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহি) উল্লেখ্য করেছেন, আলেমগন একমত যে কোন ব্যাক্তি রাসুলুল্লাহ (সা) কে হেয়ো করলে সে কাফির, মুরতাদ হয়ে যায়। তাঁর শাস্তি হচ্ছে তাঁকে কতল করে দেয়া। এ ব্যাপারে সকল ওলামায়েকেরাম এর ইজমা সংগঠিত হয়েছে। এ ধরনের বর্ণনা আরো বর্ণিত হয়েছে ইবনে মঞ্জুর (রাহি) থেকে, কাজী ইয়াদ (রাহি) থেকে এবং ইমাম খাবতাবি (রাহি) থেকে। যা “আসসারিবাল মাসলুল আলা শাতিবির রসুল” নামক কিতাবে স্পষ্ট রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। এই রাজিব ওরুফে থাবা বাবা, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর বাবু, অনন্ত বিজয়, নিলয় নীল শ্রেণীর সকল নাস্তিক মুরতাদ যারা রাসুলুল্লাহ (সা) এর বিরুদ্ধে কটুক্তি করছে তাদের রক্তের কোন মূল্য নেই। তাদেরকে অনায়াশে হত্যা করা যাবে। এর জন্য কারো অনুমতি লাগবে না, এর জন্য কারো কাছে ধরনা দিতে হবে না। বরং তাদের হত্যা করা অন্যতম একটি সওয়াবের কাজ। এটা আমাদের ঈমানের দাবি।  অতএব, রাজিব ওরুফে থাবা বাবা, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর বাবু, অনন্ত বিজয়, নিলয় নীল শ্রেণীর যারাই রাসুলুল্লাহ (সা) কে কটুক্তি পূর্বে করেছে, বর্তমানে করছে ও ভবিষ্যতে করবে তাদের একটা একটা করে খুঁজে বের করে হত্যা করতে হবে। এটাই করণীয়, এটাই দ্বীন ইসলাম, কারন তাদের রক্তের কোন মূল্য নেই। তাদের হত্যাকারীকে কিছুই বলা হবে না।

প্রিয় তাওহীদি জনতা, আমাদের এই জমিনে এসম নাস্তিক মুরতাদ ব্লগার চক্র বহুদিন যাবত ইহুদী খ্রিষ্টানদের এক সুগভির চক্রান্ত বাস্তবায়ন করতে মাঠে নেমেছে। আর তাদের সাথে যোগ দিয়েছে এদেশের মুরতাদ সরকার। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে কারন, আমাদের এই জমীনে বর্তমানে ইসলামি শরীয়ত কায়েম ও বিজয়ী নেই। বর্তমানে কাফের মুরতাদ সরকার সমূহ আওয়ামীলীগ, বি এন পি, জাতীয়পার্টি, জাসদ ইত্যাদি কুফুরিপন্থী দলের দ্বারা গঠিত গনতান্ত্রিক সরকার আর ইসলামি শরীয়ত বাদ দিয়ে মানব রচিত কুফুরি ও শির্কি আইনের প্রবর্তন করেছে।

আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন বলেছেনঃ আল্লাহর পাশাপাশি তারা তাদের পন্ডিত ও সংসার বিরাগীদেরকে তাদের পালনকর্তারূপে গ্রহন করেছে মারিয়ামের পুত্র “মাসিহ”কেও। অথচ তারা আদিস্ট ছিলো একক ইলাহ এর ইবাদতের জন্য। তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তারা তাঁর সাথে যে সমস্ত শরীক সাব্যস্ত করে তাঁর থেকে তিনি পুতঃপবিত্র।

ইহুদী নাসারাদের প্রসঙ্গে এই আয়াত টি নাজিল হয়েছিলো। আল্লাহর রাসুল (সা) যখন সাহাবায়েকেরাম এর মসলিসে এই আয়াত টি তিলাওয়াত করলেন। তখন রাসুল (সা) এর দরবারে ইহুদীদের পন্ডিত আদি বিন হাতিম (রাঃ) উপস্থিত ছিলেন। আদি বিন হাতিম (রাঃ) রখন সবে মাত্র মুসলিম হয়েছেন। আদি বিন হাতিম (রাঃ) বলে উঠলেন ইয়া রাসুলুল্লাহি (সা) আমরা তো কখনো আমাদের ওলী বুজুর্গদের কে আমাদের আহবার রূহবান, আমাদের ধর্মজাজকদেরকে আমাদের আল্লাহর আসনে বসাইনি। তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেনঃ আল্লাহ্‌ যা হালাল করেছেন তারা কি তা হারাম করতো না ? আল্লাহ্‌ যা হারাম করেছেন তারা কি তা হালাল করতো না ? এবং তোমরা কি সেটা মেনে নিতে না ? আদি বিন হাতিম (রাঃ) বললেনঃ হ্যাঁ, তাতো করতাম। তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেনঃ আল্লাহর হালাল কে তারা হারাম করতো আর আল্লাহর হারামকে তারা হালাল করতো আর তোমরা সেটা মেনে নিতে এটাই হলো তাদের ইবাদত।

আমাদের দেশের কাফের মুরতাদ সরকারগুলো এখানে নব্য আহবার রূহবান এর ভুমিকা নিয়েছেন। যুগ যুগ ধরে মুসলমানদের উপর এই কুফুরি শির্কি আইন তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অ তাদেরকে প্রতারণায় ফেলে চাপিয়ে রেখেছে।

যেমন, আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা মদকে হারাম করেছেন, আর এই মুরতাদ সরকারগুলো মদকে হালাল করে দিয়েছে। মদের লাইসেন্স দিচ্ছে। আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা জিনা/ভ্যাবিচারকে হারাম করেছেন, আর এই মুরতাদ সরকারগুলো পতিতাবৃত্তির জন্য লাইসেন্স দিচ্ছে। আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা সুদকে হারাম করেছেন, সুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, আর এই মুরতাদ সরকারগুলো সুদের ভিত্তিতে পুরো অর্থনিতি পরিচালনা করছে। সুদের ভিত্তিতে ব্যাংক পরিচালনার লাইসেন্স দিচ্ছে।

অথচ আল্লাহ সুবহাহু ওয়াতালা বলেছেনঃ তারা কি জাহিলিয়াতের বিধিবিধান চায়? অথচ আল্লাহর চেয়ে উত্তম বিধানদাতা আর কে রয়েছে ? আল্লাহর বিধানের চেয়ে উউতম বিধান, উত্তম ফয়সালা আর কার রয়েছে ?

অত্যন্ত দুঃখ্যজনক হলেও সত্য তারা এই সমস্ত জাহেলি/বাতেলি আইনকে বলছে যুগোপযোগী আইন। আর আহকামুল হাকিমিন আল্লাহর দেয়া আইনকে বলছে মধ্যযুগিও শাসন। এটা তাদের আরেকটি সুস্পষ্ট কুফুরি। এছাড়াও এদেশের মুরতাদ সরকারগুলো যুগ যুগ ধরে সারা বিশ্বে মুসলমানদের সাথে যুদ্ধরত ইহুদী, খ্রিস্তান, হিন্দু, বৌদ্ধ দেশগুলোর (যেমনঃ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, মায়ানমার ইত্যাদি) পা চাটা গোলামের ভুমিকা পালন করছে। এদেরকে বন্ধু, সাহাজ্যকারী ও পরামর্ষক হিসেবে গ্রহন করছে।

আল্লাহ সুবহাহু ওয়াতালা বলেছেনঃ “হে মুমিনগন, তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে আওলিয়া, বন্ধু, অভিভাবিওক, রক্ষক হিসেবে গ্রহণ করো না। কারন তারা একে অপরের আওলিয়া। তোমাদের মধ্যে যে তাঁদেরকে বন্ধু হিসেবে মেনে নিবে, সাহায্যকারী হিসেবে মেনে নিবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ্‌ জালিমদেরকে পথ পদর্শন করেন না।”এই মুরতাদ সরকার গুলো এদেশে ইহুদী, খ্রিস্টান, হিন্দুদের কুফুরি/শির্কি আদর্শ ও ক্রিষ্টি কালচার প্রচার প্রসার করছে। এবং কুফুর সরকার হিসেবে ইহুদী, খ্রিস্টান, হিন্দুদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। এদের শিক্ষানীতি, এদের নারিনিতি আমাদের এই মুসলমান দেশে চাপিয়ে দিচ্ছে। এর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের আলেম সমাজ অনেক আন্দোলন, সংগ্রাম করেছেন। সেই সব আন্দোলনের কারনে অনেক আলেম, অনেক মাদ্রাসার ছাত্র শহীদ হয়েছেন। জেল জরিমানার শিকার হয়েছেন। এই নাস্তিক মুরতাদ সরকার সমুহ ইহুদি, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, হিন্দুদের বন্ধু ও আওলিয়া হয়ে ইতিমধ্যে দ্বীন ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে গেছে।

চলবে…